বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৪ PM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ AM

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার সংশোধিত আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। এতে আইনটির বিধান কেন অবৈধ, বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এবং মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান এই রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধিত ৯(২) ধারা সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে ধারাটি কেন বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনটির ওপর চলতি সপ্তাহে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত মার্চে মাগুরায় এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মীদের অংশগ্রহণে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। এসব প্রতিবাদ থেকে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি ওঠে।
এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ২০ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধনী অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
সংশোধিত আইনের ৯(২) ধারায় বলা হয়েছে—“যদি কোনো ব্যক্তি দৈহিক বলপ্রয়োগ ব্যতিরেকে, বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ষোল বছরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং যদি উক্ত ঘটনার সময় উক্ত নারীর সঙ্গে তাঁর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে, তাহলে তিনি অনধিক সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।” এই ধারা নিয়েই রিট আবেদনকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, যা এখন বিচারাধীন।