জানা গেল আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলির নেপথ্যে কে ছিলেন

জুলাই আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলির প্রমাণ পাওয়া গেছে
জুলাই আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলির প্রমাণ পাওয়া গেছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি, গণহত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছেন র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে  গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আন্দোলনে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা (আইসিটি)। গুলি করে এই হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পেছনে ছিলেন হারুন অর রশিদই। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।’ 

চিফ প্রসিকিউটর জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এখন পর্যন্ত ৯৬ জনের বিরুদ্ধ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের কম আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। শুরুর দিকে দুর্বলতা থাকলেও এখন গ্রেপ্তারে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’ 

এর আগে, আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পোড়ানোর মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানিয়েছিল কোটা আন্দোলনে আকাশ পথে টহলের সময় র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে কোনও ধরনের গুলি করা হয়নি বা কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। নিরুপায় হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলাচলের পথ সুগম করা এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন ও ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ