শাপলা গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ঢাবিতে সমাবেশ

সমাবেশ
সমাবেশ  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আহতদের ‘শাপলার বীর’ হিসেবে সম্মাননা প্রদান, শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং ৫ মে-কে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ করেছে ‘স্টুডেন্ট এলায়েন্স অফ ডিইউ’।

সোমবার (৫ মে) বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এই সমাবেশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. আরিফুর রহমান অপু। তিনি বলেন, “শাপলার গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একটি গুরুত্ববহ ও আলোড়ন তোলা ঘটনা। এই ঘটনার পর থেকেই দেশে রাজনৈতিক সন্ত্রাসবাদের নতুন অধ্যায় শুরু হয়। একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে শাপলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার করতে হবে এবং আহত ও নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”

‘আমার দেশ’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক মুনিম মাহফুজ বলেন, “শাপলা আন্দোলন ছিল বাঙালি মুসলমানদের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ গণজাগরণ। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সূচনা হয়। ২০১৩ সাল ভুলে গেলে চলবে না, কারণ সেখান থেকেই এক দীর্ঘ আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “যদি আমরা পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ জুলাইয়ের আন্দোলনের শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকি, তাহলে শাপলার শহীদদেরও সমভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য আলাদা একটি সেল গঠন করে সত্য উদঘাটন করতে হবে।”

স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন ইফতি বলেন, “এই নিপীড়নের পেছনে শুধু ধর্মবিদ্বেষ নয়, একটি শ্রেণিভিত্তিক বৈষম্যও কাজ করে। শহরের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে একটি মনস্তাত্ত্বিক বিদ্বেষ রয়েছে গ্রামের সাধারণ মানুষদের প্রতি, যা আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধাচরণে প্রকাশ পায়। এই বিভাজন থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কওমি স্টুডেন্ট ফোরাম, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ