নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৫ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে অসন্তোষ

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট নবম গ্রেডের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার ১৫টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গত ২৭ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আবেদনের সুযোগ পাননি জিওলজিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা। এর প্রতিবাদ ও অসন্তোষ জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগটির শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইরা।
জানা গেছে, বিজ্ঞপ্তিতে পুরকৌশল, তড়িৎকৌশল, যন্ত্রকৌশল, পানিসম্পদ কৌশল, কৃষি ইঞ্জিনিয়ারিং, রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং, হাইড্রলিক্স, হাইড্রোলজি, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থবিদ্যা, গণিত, ফলিত গণিত এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, বরিশাল এবং জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওলজি বিষয়ে স্নাতক করা শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের অভিযোগ তুলে এর নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিকাল সায়েন্সেস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (জেইউজিএসএএ) এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, জিওলজি শিক্ষায় জিওমর্ফোলজি, হাইড্রোলজি এবং নদী গবেষণা-সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তৃত পড়াশোনা রয়েছে, যা নদী গবেষণার জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এ অবস্থায় জিওলজি স্নাতকদের বাদ দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, যা নদী গবেষণার সম্ভাবনাকে সীমিত করে।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের আগে প্রশাসনে থাকা আওয়ামী সমর্থকদের বিচার চায় ছাত্রদল
যৌথ বিবৃতিতে জিওলজি শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই প্রতিনিধিরা বলেন, জিওলজি স্নাতকরা নদী গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তাদের বাদ দেওয়া শুধু শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার নয়, বরং দেশের নদী ব্যবস্থাপনা ও গবেষণার মানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জিওমর্ফোলজি, যা নদীর গঠন, প্রবাহ এবং পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে, নদী গবেষণার জন্য অপরিহার্য। জিওলজি স্নাতকদের এ নিয়োগে অন্তর্ভুক্ত করা হলে গবেষণায় বৈচিত্র্যময় দক্ষতা ও জ্ঞানের সমন্বয় সম্ভব হবে।
শিক্ষার্থীরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের জন্য নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, জিওলজি স্নাতকদের অন্তর্ভুক্তি নদী গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনবে।