ঢাবি আরবি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে রিট
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ AM , আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ AM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ সালমান ও মো. জুনায়েদের নিয়োগ কার্যক্রম সিন্ডিকেট কর্তৃক স্থগিত করা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের নিয়োগ অবৈধভাবে স্থগিত প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি রিট পিটিশনার কর্তৃক দায়েরকৃত দরখাস্ত আগামী ৩০ দিনের নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটকারী মোহাম্মাদ সালমান ও মো. জুনায়েদের পক্ষে রিট দায়ের করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আরিফুর রহমান আরিফ।
রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান আরিফ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান বলেন, সালমান এবং জুনায়েদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি তে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। তারা ডিন এওয়ার্ড, গোল্ড মেডেল পেয়েছেন এবং পিএইচডি হোল্ডার। তাদের যোগ্যতার দিক থেকে কোনও কমতি ছিল না।
তিনি আরও জানান, ঢাবির আরবি বিভাগে চারটি প্রভাষক পদের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। রিটকারীগণ সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সব নিয়ম মেনে আবেদন করেন। আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মনোনীত সিলেকশন বোর্ড গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে তাদের ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু রিটকারীরা তামীরুল মিল্লাত মাদরাসার সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ায় তৎকালীন ছাত্রলীগের বাধার মুখে যোগদান করতে পারেননি।
তার দেয়া তথ্য মতে, গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ সিন্ডিকেট বোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ -এর আর্টিকেল ২৩(২) অমান্য করে মনোনয়ন বোর্ডের ওই সুপারিশ ও নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এবং সংবিধান পরিপন্থী।
পরবর্তীতে রিটকারীগণ তাদেরকে নিয়োগ না দেয়ার কারণ জানতে চাইলেও তাদেরকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি ঢাবি প্রশাসন। এমনকি তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে।
এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে রিটকারীগণ তাদের নিয়োগ দেয়ার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। শুধু প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক মতাদর্শ ও তামীরুল মিল্লাতের ছাত্র হওয়ায় তাদের নিয়োগ পেতে বাধা দেয়া হয় বলে আদালতকে অবহিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান আরিফ।