স্নাতকে শিক্ষার্থী ভর্তি

আগামীতে পোষ্য কোটা থাকছে না চবিতে, এবার কমালো দুই-তৃতীয়াংশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্নাতক (সম্মান) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।পাশাপাশি, পর্যায়ক্রমে এই কোটা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য ও শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দীন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দিন এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউট পরিচালক, হল প্রভোস্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ওয়ার্ড কোটায় (WQ) বিদ্যমান নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে। পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে চবি শিক্ষকদের সন্তানদের জন্য একটি এবং প্রতি অনুষদে চবি কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য একটি আসন সংরক্ষিত থাকত। 

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই কোটা বাতিল করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে মাত্র ৫৪টি আসন বরাদ্দ করা হবে, যা মেধাক্রম অনুযায়ী পূরণ করা হবে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৮৪ নেতাকর্মী বহিষ্কার

এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইউনিটভিত্তিক ভর্তি কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি ও কোটা পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পর্যায়ক্রমে পোষ্য কোটা পুরোপুরি শূন্যে নামিয়ে আনার সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দীন খানকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির, প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী, ফিজিক্যাল এডুকেশন ও স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এন. এম. সাজ্জাদুল হক, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ