উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে নিজের আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরলেন নাহিদ

উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে নিজের আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরলেন নাহিদ
উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে নিজের আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরলেন নাহিদ

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। প্রায় ৬ মাস দায়িত্ব পালনকালে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন-সম্মানীসহ ১০ লাখ ছয় হাজার ৮৮৬ টাকা জমা হয়েছে। আর ৯ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৮ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে আয়-ব্যয়ের বিবরণী লিখে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন তিনি।

এর আগে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে উপদেষ্টা হন নাহিদ ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

ফেসবুকের পোস্টে নাহিদ লেখেন, উপদেষ্টা পদে যোগদানের আগে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ২১ আগস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানী গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলি। উক্ত অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি। 

‘‘এই হিসাবে ১০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৬ টাকা জমা হয়েছে এবং ৯ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৮ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের এই অ্যাকাউন্টটি ছাড়া আমার অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি।’’

তিনি আরও লেখেন, আমার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর হিসাবে ৩৬ হাজার ২৮ টাকা রয়েছে। উনি একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর উনার নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করা হয়নি। এছাড়া আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট যে কারো সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব রয়েছে। প্রয়োজনে উন্মুক্ত করা হবে। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি দপ্তরে এই তথ্য যাচাইযোগ্য বলে তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ