রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা ৫ ক্লাস্টারে, একটির সিলেবাস এইচএসসির

রেলওয়ের বাতিল হওয়া নিয়োগের পরীক্ষা পাঁচটি ক্লাস্টারে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে পিএসসি
রেলওয়ের বাতিল হওয়া নিয়োগের পরীক্ষা পাঁচটি ক্লাস্টারে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে পিএসসি

রেলওয়ের বাতিল হওয়া নিয়োগের পরীক্ষা পাঁচটি ক্লাস্টারে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এজন্য বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস তৈরির কথা জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। মোট পাঁচটি ধাপে পরীক্ষা ও নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে একটি ধাপের সিলেবাস এইচএসসি ও সমমানের সিলেবাস থেকে করা হতে পারে।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা ক্লাস্টার পদ্ধতিতে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এজন্য সিলেবাস তৈরি করা হবে। সিলেবাস কেমন হবে তা আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়গুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’

রেলওয়ের দশম গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষায় ১১ ক্যাটাগরি রয়েছে। এ ক্যাটাগরিগুলোকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে পৃথক পৃথক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণ কমিশনের সভায় এটি অনুমোদন হতে হবে। 

পিএসসির একটি সূত্র জানিয়েছে, রেলওয়ের দশম গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষায় ১১ ক্যাটাগরি রয়েছে। এ ক্যাটাগরিগুলোকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে পৃথক পৃথক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণ কমিশনের সভায় এটি অনুমোদন হতে হবে। 

সূত্র আরও জানায়, পাঁচ ক্যাটাগরির মধ্যে একটি ক্যাটাগরির পরীক্ষা এইচএসসির সিলেবাস অনুযায়ী নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। সিলেবাস এইচএসসির হলেও ডিপ্লোমাতে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয়েছে সেই বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হবে। বিষয়গুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও পাঁচ ধাপে পরীক্ষা হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। এ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ায় পরিকল্পনাগুলো করা হয়েছে।’

তিন ধাপে হবে রেলওয়ের উপ-সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বাতিল হওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষা তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি চাকরি (প্রার্থীর প্রাক্-পরিচয় যাচাই) বিধিমালা ২০২৫  খসড়া চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন। এই বিধিমালাটি পরীক্ষার্থীবান্ধব করা হয়েছে। ফলে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের হয়রানি বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং বৈষম্য নিরসনে অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। খসড়া বিধিতে  সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয় কোন কোন পরিস্থিতিতে একজন প্রার্থীকে সরকারি চাকরির জন্য অনুপযুক্ত ঘোষণা করা যাবে।

আরো পড়ুন: শাহবাগ ব্লকেডের ডাক ৩০ কলেজের শিক্ষার্থীদের, সড়কেই করবেন ইফতার

অনুপযুক্ত প্রার্থীকে কেন অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা প্রার্থীকে অবগত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অনুপযুক্ত ঘোষিত ব্যক্তি পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ চাইলে অনুপযুক্ত প্রার্থীর বিষয়ে পুনঃতদন্ত করার এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর অধীন একটি বিধিমালা হিসেবে সকল শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর জন্য এটি জারি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। উক্ত বিধি জারি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সার্বিক বিবেচনা করবে।  বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরির পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে এই বিধি প্রয়োজ্য।

তাছাড়া নন-ক্যাডার বিধিমালা-২০২৩ সংশোধনের বিষয়ে কমিশন নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। পরবর্তী মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।উল্লেখ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। পরীক্ষাটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে-প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা।


সর্বশেষ সংবাদ