আন্দোলনে যাচ্ছেন ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগপ্রত্যাশীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫০ PM , আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ AM

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট/টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম গ্রেডভুক্ত ইনস্ট্রাক্টর (টেক) ও ওয়ার্কসপ সুপার পদে নিয়োগের ফল নিয়ে অসন্তোষ থাকায় আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগপ্রত্যাশীরা। আগামী সোমবারের (১০ মার্চ) মধ্যে ফল পুনর্মূল্যায়ন না করা হলে আন্দোলন যাবেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইনস্ট্রাক্টর ফলাফল বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম পারভেজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পরীক্ষা হওয়ার কারণে অনেক মেধাবী চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ফলাফল পুনঃবিবেচনা না করলে কঠোর আন্দোলন পালন করা হবে। প্রাথমিকভাবে মাননববন্ধন এবং পরবর্তীতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সামনে অনশনের মতো কর্মসূচি পালন করা হবে।’
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ মে ইন্সট্রাক্টর নিয়োগের মৌখিক শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২ জুন পরীক্ষা শেষ হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার দীর্ঘদিন পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। ১৮১টি পদের বিপরীতে ৬৯০ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭৮ জনকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করে পিএসসি। সুপারিশের পর থেকেই ফলাফলে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ জানাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রার্থীদের অভিযোগ, ইন্সট্রাক্টর ফুড (বিজ্ঞপ্তির ক্রমিক নং ৮২)-এর দুই নম্বর বোর্ডে ০০০৩৫৩ থেকে ৬০০০৪০ পর্যন্ত মোট ১৭ জন ভাইভায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে তাদের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফলে কেউ সুপারিশপ্রাপ্ত হয় নি। একই দিনে ৩ নম্বর বোর্ডে ০০০১৪৫ থেকে ০০০২১৬ পর্যন্ত মোট ১৬ জনের মধ্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন দুইজন। আবার একই দিনে একই দিনে ১ নম্বর বোর্ডে ০০০০০১ থেকে ০০০৩১৬ পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মধ্য সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন ১১ জন। কোনো বোর্ড থেকে একজনও সুপারিশপ্রাপ্ত হননি, আবার কোনো বোর্ড থেকে অধিকাংশই সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
একইভাবে আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিওর ডিজাইন, অ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং বেসিকস্, মেকাট্রনিক্স, ইলেক্টিক্যাল, ওয়ার্কসপ সুপার, ইলেট্রোমেডিক্যাল এবং ওয়ার্কসপ সুপার (সিভিল) পদের মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডগুলোতেও একই ধরনের অসংগতি দেখা গেছে। বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য কোনো বোর্ডে বেশি প্রার্থীদের উত্তীর্ণ করা হয়েছে। আবার কোনো বোর্ডে কাউকেউ উত্তীর্ণ করা হয় নি। এ অবস্থায় ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।