রাজধানীতে নেই চিরচেনা জানজট, এখনো বিরাজ করছে ঈদের আমেজ

সরকারি ক্যালেন্ডারে ঈদের ছুটি শেষ করে আগামীকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) থেকে অফিস-আদালত খোলা হলেও ঢাকার রাস্তাঘাট এখনো ফাঁকা। রাজধানীর সড়কে এখনো বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। 

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার সড়কে নেই চিরচেনা জানজটের ভোগান্তি। মোড়ে মোড়ে সিগন্যালে পড়লেও বেশিক্ষণ আটকে থাকতে হচ্ছে না। 

ইসিবি চত্বর মোড়ে দায়িত্ব পালনরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় চাপ কম। কিন্তু এই রোদে একঘণ্টা দাঁড়ানোই যুদ্ধ মনে হচ্ছে।

রফিকুল ইসলাম নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, এখনো অনেকে ঢাকা আসেননি। কাল থেকে পুরোপুরি অফিস শুরু হবে। সেজন্য আজও অনেকটা ফাঁকা মনে হচ্ছে। 

মিরপুর, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, বিশ্বরোড ও বনানীসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে যে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। যানবাহন যেমন কম চলেছে, তেমনি রাস্তায় মানুষের চলাচলও ছিল সীমিত। প্রচণ্ড গরমের প্রভাবে ছোট ছোট রাস্তাগুলোতে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যাও কিছুটা কমেছে।

রিকশা ও সিএনজি চালকরা বলছেন, যাত্রী স্বল্পতার কারণে আয়ে টান পড়েছে। শরিফুল ইসলাম নামে এক রিকশাচালক বলেন, গরমে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যারা বের হচ্ছে, তারাও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। সকাল থেকে অনেক কম যাত্রী পেয়েছি।

আরেক রিকশাচালক আব্দুল খালেক বলেন, রাস্তায় লোকজনই নেই। যে কজন আছে, তারা আবার দূরেও যায় না। রোদে বের হতেও চায় না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র জমার টাকা তুলতে পেরেছি। এখনো দৈনিক খরচের টাকা হয়নি। 

সিএনজি চালক মজিবর বলেন, প্যাসেঞ্জার নাই, যারা ওঠে তারাও বেশি ভাড়া দিতে চায় না। ঈদের পরপর এই সময়টায় এমন হয়। ঢাকায় গতি ফিরতে আরও দুই-তিন দিন লাগবে।

প্রসঙ্গত,  ৬ এপ্রিল ছুটি শেষে খুলবে অফিস-আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটি শেষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফিরবেন কর্মস্থলে।


সর্বশেষ সংবাদ