আগরতলা অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের লংমার্চ শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ AM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ AM

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়।
এর আগে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ৭টার পর থেকে তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা। সেখানে সমাবেশ শেষে শুরু হয় লংমার্চ।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা-আগরতলা লংমার্চ করবে বিএনপির এই তিন গঠন।
রাতে গণমাধ্যমকে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠেবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরব পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেবে।
লংমার্চের শুরুতে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না, প্রধান বক্তা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
ভৈরব মোড় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না।
আখাউড়ায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
একই ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে পদযাত্রা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। নয়াপল্টন থেকে পদযাত্রাটি রামপুরা গেলে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনারে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।
গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত উপহাইকমিশনে হামলা হয়। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে আগুন দেয় ও ভাঙচুর চালায়।