প্রবাসীর স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি সেই রনি গ্রেপ্তার
- ফেনী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:০০ PM , আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ AM

ফেনীর সোনাগাজীতে প্রবাসীর স্ত্রী লায়লী আক্তার তানিয়া (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুর আফছার রনিকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে খাগড়াছড়ির রামগড় থানার পাতাছড়া ইউনিয়নের তালমনি পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া রনি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ চর খোয়াজ গ্রামের ছেলামত সওদাগরের নতুন বাড়ি নুর উদ্দিনের ছেলে। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে রনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার কাছ থেকে নিহত লায়লীর লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। রনি জানান, নিহত লায়লীর সঙ্গে তার এক বছরের বেশি সময় ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এবং তিনি তাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু লায়লীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তার স্ত্রী সন্তানসহ তাকে ছেড়ে চলে যান।
পুলিশ আরও জানায়, নিহত লায়লী একই সঙ্গে প্রবাসী রনি নামের আরেক যুবকের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আসামি রনির সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। ঘটনার দিন নিহতের অনুরোধে জিলাপি নিয়ে তার বাসায় যান রনি। সেখানে গিয়ে দেখেন, লায়লী ভিডিও কলে প্রবাসী রনির সঙ্গে কথা বলছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রনি তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যান। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তিনি লায়লীর গলা টিপে ধরেন এবং পরে ওড়না ও গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর লায়লীর মোবাইল ফোন নিয়ে তিনি পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের দিন বাসায় আনা জিলাপিও উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আদালতে হাজির করা হলে আসামি রনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বায়েজীদ আকন বলেন, "আসামি রনিকে গতকাল রাতে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।"
এর আগে, গত শনিবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোনাগাজী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম তুলাতলীতে ভাড়া বাসা থেকে লায়লীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।