খাগড়াছড়িতে ৪ দিনব্যাপী বৈসাবি উৎসব শুরু
- খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ AM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ AM

পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি উৎসব সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে চার দিনব্যাপী ‘বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, বিহু, সাংলান, পাতা, সাংক্রাই, সাংগ্রাইং, চাংক্রান এবং বাংলা নববর্ষ’ উৎসব শুরু হয়েছে।
চার দিনব্যাপী এ উৎসবের প্রথম দিন শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা, কোমড় তাঁতের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী, বৈচিত্র্যপূর্ণ মেলা, আলোচনা সভা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকালে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এ বর্ণাঢ্য কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। এতে সভাপতিত্ব করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ঞ্যোহ্লা মং। উদ্বোধনের পরপরই মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা জলকেলি অনুষ্ঠিত হয়। পরে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী গরিয়া নৃত্য প্রদর্শিত হয়। গরিয়া নৃত্যের পরে উৎসবের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিরা।
পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভা ও পরে ত্রিপুরা, চাকমা, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক জীতেন চাকমা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জিরুনা ত্রিপুরা বলেন, এই বর্ণাঢ্য আয়োজন বৈসু-বিজু-বিহু-বিষুসহ চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব শুধুই আনন্দের নয়, আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। খাগড়াছড়িতে বর্ণিল আয়োজনে বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু উৎসবের শান্তি,সৌহার্দ্য, সহাবস্থান ও ঐক্যতার প্রতীক। মূলত বৈসাবি পাহাড়ের সোহার্দ্য, সহাবস্থান ও ঐক্যতার প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, এই উৎসব আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলে এবং নতুন বছরের শুভ সূচনা করে। কোমড় তাঁতের প্রদর্শনী পাহাড়ি নারীদের ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্পকে নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করবে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, জেলা পরিষদের সদস্য প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের সদস্য জয়া ত্রিপুরা, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রীলা তালুকদার, বিশিষ্ট লেখক অংসুই মারমা প্রমুখ।