বাকৃবিতে ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উপস্থাপন

কর্মশালায় পোস্টার উপস্থাপনা দেখছেন দর্শনার্থীরা
কর্মশালায় পোস্টার উপস্থাপনা দেখছেন দর্শনার্থীরা

ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা পোস্টার ও মৌখিক আকারে উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকেরা। বাকৃবির ছয়টি অনুষদের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ওই উপস্থাপনায় অংশ নেন।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষসহ বিভিন্ন অনুষদের কয়েকটি স্থানে পোস্টার ও মৌখিক উপস্থাপনাগুলো নেওয়া হয়। এ ছাড়া তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালায় গতকালও মৌখিক ও পোস্টার উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) গবেষণা অগ্রগতির বার্ষিক কর্মশালায় ২৩টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপনাগুলো সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: বেরোবিতে ‘শহীদ আবু সাঈদ বইমেলা’ শুরু মঙ্গলবার

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গবেষকরা কৃষি খাতে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছেন। কেউ কাজ করেছেন ডায়াবেটিস কমানোর বিভিন্ন পদ্ধতি ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে; কেউ কাজ করছেন গবাদি পশু, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মান উন্নয়নে; বাজারে থেকে কিনে আনা মুরগি, ডিমের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে; গবাদিপশুর বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ও এর সমাধান; জৈব সারের মান উন্নয়ন ও উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে; ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা ও নতুন নতুন উদ্ভাবন; মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জলজ সম্পদের অধিকতর ব্যবহার; কৃষি প্রযুক্তিতে উন্নয়ন; গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থায় কৃষি অর্থনীতির নানাদিক।

এ সময় ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক গবেষণায় বাজার থেকে আমরা যে পোল্ট্রি মুরগি কিনে আনি তাতে অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি কক্সিডিওস্ট্যাটও থাকে। এর প্রভাবে মানুষের লিভার, কিডনি, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এ ছাড়া কক্সিডিওস্ট্যাটও অতিরিক্ত শরীলে প্রবেশ করলে উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন: মাইগ্রেশন করে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তির টাকা ফেরত দেয়নি কুবি

প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশ আরিয়াল ও আসমিতা ভূজেলের সহযোগিতায় প্রাথমিক গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।’

এ ছাড়া স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারাহ তাসফিয়া বলেন, ‘বাউরেসে আমার গবেষণা উপস্থাপনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এটি আমাকে বৈশ্বিক গবেষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ করে দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও কার্যকর গবেষণার পথ সুগম করবে। আমি আশা করি, আমার কাজ কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ