শেকৃবিতে শ্রেণি প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত এক শিক্ষার্থী

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের লেভেল-২ সেমিস্টার-২ এর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে, যাতে একজন শিক্ষার্থী আহত হন। 

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, দূর্জয় কুমার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

অনুষদের শিক্ষার্থীরা জানান, শ্রেণি প্রতিনিধি নির্বাচন ও পরীক্ষা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মতবিরোধ দেখা দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সিআরসিপ ত্যাগ করেন সেকশনটির সদ্য সাবেক ক্লাস প্রতিনিধি সজীব। পরে ক্লাস থেকে ফেরার পথে আগের কথা কাটাকাটির জের ধরে শাহরিয়ার আলম হিমেল, তাওহীদ আহম্মেদ ও হাসিব হিমেল দূর্জয়কে মারধর করেন। এরপর দূর্জয়ের সহপাঠীরা অভিযুক্তদের রুম ভাংচুর করেন।

ভুক্তভোগী দূর্জয় কুমার বলেন, ‘তারা আমাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মারধর করেছে।’ 

অভিযুক্তরা নারীদের উত্ত্যক্ত ও মাদক সেবনের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও, তাওহীদ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন, দাবি করেন এটি একটি সামান্য কথা কাটাকাটি।

অভিযুক্তদের বহিষ্কার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন অনুষদের লেভেল -২ সেমিস্টার -২ এর শিক্ষার্থীরা। আবেদনপত্রে তারা উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী (হিমেল, তাওহীদ ও হাসিব) ভুক্তভোগীকে বাইসাইকেল থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করেন‌। এছাড়াও অভিযোগপত্রে নারীদের উত্ত্যক্ত ও মাদক সেবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তাওহীদ আহম্মেদ বলেন, যত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সব মিথ্যা। বন্ধুদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে, যা শিগগির মিটমাট হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আরফান আলী বলেন, এ বিষয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।


সর্বশেষ সংবাদ