মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটার যাচাই শেষ, নির্দেশনা পেলে প্রকৃত সন্তানদের ভর্তি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৫ AM , আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৫ AM

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নির্বাচিত ৭৭ জনকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে ভর্তি করা হবে। আজ শনিবার (৮ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের মধ্যে ১৫৮ জন সনদ জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৭৭ জনকে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আগেই। সনদ জমা না দেওয়া ৩৫ জনসহ মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের ভর্তি বাতিল হতে পারে। ভর্তি নীতিমালায় ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকার কথা জানানো হয়েছিল।
আজ শনিবার (৮ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তারা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতে পারেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে ভর্তি করা হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মেডিকেলে কোটায় উত্তীর্ণদের সনদ যাচাই শেষে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ১৯ জানুয়ারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা কম নম্বর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চান্সপ্রাপ্তদের সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুন: চবি ভর্তি পরীক্ষা: কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রকাশিত ফলাফলে ৫ হাজার ৩৮০ পরীক্ষার্থী ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় ও ৩৪৮ জন পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৬০ হাজার ৯৫ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।