ভর্তি আবেদন চলছে চার বিশ্ববিদ্যালয়ের, সময়সূচি জানা গেল যেসব প্রতিষ্ঠানের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ AM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০২ AM

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তির জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আবেদন শেষ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের।
বুয়েট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৪-২৫ সেশনের স্নাতক ভর্তির জন্য প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার আবেদন গত ৩০ নভেম্বর শুরু হয়েছে। এবারও ভর্তি পরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য আলাদাভাবে ফি দিতে হবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার ‘ক’ গ্রুপে প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ থাকবে। আর ‘খ’ গ্রুপে থাকবে প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ। আবেদনকারীদের অনলাইনে আবেদন পূরণকালীন সময়ে প্রাথমিক আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
পরবর্তীতে যে সব আবেদনকারী প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হবেন, তাদেরকে ‘ক’ গ্রুপের জন্য ৮০০ এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য ১ হাজার টাকা দিতে হবে। এ টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। পরবর্তীতে মূল ভর্তি পরীক্ষার আগে আর কোনো ফি দিতে হবে না।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা আগামী ২৩ জানুয়ারি গ্রহণ করা হবে। এর মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত আবেদনকারীরা মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। বিস্তারিত তথ্য www.buet.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হয়ে চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদান শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর বেলা ৩টায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট তিটি এবং স্থাপত্য বিভাগে একটি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৩০৯টি।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। ভর্তি হতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা বুধবার (৪ নভেম্বর) থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। এবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদসমূহে ১৬টি বিভাগে এক হাজার ৬৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
প্রথমবর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্স ভর্তি কমিটির সভাপতি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর আবেদন শুরু হবে। এবার ভর্তি পরীক্ষার ফি যথাক্রমে ১১শ ও ১২শ টাকা।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত বৈধ আবেদনপত্রের মধ্য থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজী-এ চার বিষয়ে প্রাপ্ত মোট গ্রেড পয়েন্টের ভিত্তিতে একটি মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। প্রার্থী সংখ্যা বেশি হলে এ তালিকা থেকে ২০ হাজার জন প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
২০ হাজারতম প্রার্থী একাধিক হলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যথাক্রমে গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজীতে প্রাপ্ত থ্রেডের ভিত্তিতে ন্যূনতম সংখ্যক প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে । চার বছর পর গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এবার একক ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে কুয়েট। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে চুয়েট ও রুয়েটের সঙ্গে প্রকৌশল গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছিল কুয়েট।
ভর্তি সংক্রান্ত সময়সূচী
আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ ও Submission শুরু: ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টা।
আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ ও Submission শেষ: ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট।
টাকা জমা দেয়ার শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর (রোববার) বিকাল ৫টা।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর (সোমবার)।
ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময়: ১১ জানুয়ারী (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টা হতে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। মুক্তহস্ত অংকন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মেধাক্রমের তালিকা প্রকাশ, বিভাগ পছন্দ প্রদানের নির্দেশনা, ভর্তির নিয়মাবলী ও ভর্তির তারিখ ঘোষণা: ২৬ জানুয়ারি (রোববার)।
আর্কিটেকচারে ৫ বছর মেয়াদী এবং অন্যান্য সকল বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ভর্তি পরীক্ষার ফি প্রদান করে Submit করতে হবে। এবার ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইউআরপির ভর্তি পরীক্ষার ফি ১ হাজার ১০০ টাকা। আর ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউআরপি ও আর্কিটেকচারের ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে যে পাঠ্যসূচী ছিল প্রধানতঃ তার ওপর এবং Functional English-এর ওপর ভিত্তি করে ৩ ঘন্টাব্যাপী সর্বমোট ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম বর্ষ বিএসসি. ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিমার্ক কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা একই প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে।
বিআর্ক কোর্সে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের এমসিকিউ পরীক্ষা ছাড়াও ১ ঘন্টার ১০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্যাবলী admission.kuet.ac.bd ওয়েবসাইট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
দীর্ঘ চার বছর পর ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। গত ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ২০২১-২০২২ সালে এসএসসি ও ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবে। অর্থাৎ সেকেন্ড টাইমারদের ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ থাকছে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩১ জানুয়ারি ‘ই’ ইউনিট চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট কলা অনুষদ, ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষ হবে।
আগামী ১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা হতে ১৫ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক আবেদন ফি ১০০ টাকা। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে হতে মেধাক্রম অনুসারে ১ থেকে ৪০ হাজার তম আবেদনকারীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে।
যে সব আবেদনকারী প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্বাচিত হবে তাদেরকে ৭০০ টাকা প্রদান করে পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, আবেদন করার নিয়ম, আবেদন ফি, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://admission.jnu.ac.bd) এ ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি
বিএসআরএম মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ সেশনের স্নাতক অনলাইন ভর্তি আবেদনের জন্য আর একদিন সুযোগ পাবেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। গত ১ ডিসেম্বর এ সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৭ দিন বাড়িয়ে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে জন্য যায়, স্নাতক পর্যায়ের এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল', বিবিএ (অনার্স) ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস, বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ, বিএসসি (অনার্স) ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামসমূহে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুবিধার্থে স্নাতক প্রোগ্রামসমূহে ভর্তির আবেদনের সময় বর্ধিত করা হয়েছে।
আগামীকাল শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, সার্কুলারে উল্লিখিত নূন্যতম জিপিএ থাকলে সবাই পরীক্ষা দিতে পারবেন। যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় শুধুমাত্র আবেদন সঠিকভাবে করা হয়েছে কি না তা যাচাই করার জন্য।
আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে www.bsmrmu.edu.bd এই ওয়েবসাইট এ। আবেদনের পোর্টাল applyonline.bsmrmu.edu.bd। আর হেল্পডেস্ক ইমেইল: admissioninfo@bsmrmu.edu.bd।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র (বিইউপি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি বিইউপি থেকে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮ নভেম্বর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামী ১৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী আর্টস ও সোশ্যাল সায়েন্স অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
একই দিনই বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা এবং বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ ভর্তি পরীক্ষা (লিখিত-এমসিকিউ) শুধুমাত্র ঢাকায় বিইউপির ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষার মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মেডিকেল
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। তবে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি আবেদন শুরু হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার নীতিমাল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি)। এবার ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেলে পাস করবেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
‘মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫’ শীর্ষক নীতিমালায় ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা, নিয়মসহ বিস্তারিত জানিয়েছে বিএমএন্ডডিসি। এবার সেকেন্ড টাইমে আগের এইচএসসি ও সমমান পাস প্রার্থীদের ৩ এবং মেডিকেলে ভর্তি প্রার্থীদের ৬ নম্বর কেটে মেধা তালিকা করা হবে।
বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি ও বিদেশে সমতুল্য কোর্সে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের অনুমতির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কেবল সরকার কর্তৃক বিদেশিদের জন্য সংরক্ষিত সরকারি আসনে এবং বিদেশিদের জন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটে নির্ধারিত কোটায় বিদেশি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
দেশি প্রার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে। দুইটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ পয়েন্ট হতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করা হবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
সদ্য এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ এর সহিত এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। তবে পূর্ববর্তী বৎসরের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর হতে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বৎসরের সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তিকৃত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর হতে ৬ নম্বর কেটে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য একই সঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে এমবিবিএস কোর্সে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার এক মাস পর সরকারি ও বেসরকারি সকল ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য একই সঙ্গে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বিডিএস কোর্সে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইংরেজি মাধ্যমে উত্তীর্ণ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট ১০০ (একশত) নম্বরের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন যথাক্রমে জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান ১০ হবে। পরীক্ষার সময়কাল এক ঘণ্টা। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম প্রাপ্তরা দেশে ভর্তি ও বিদেশে এমবিবিএস/বিডিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য ‘অকৃতকার্য' বিবেচিত হবে।
শুধুমাত্র লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এর পাশাপাশি সরকার অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজে/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য জাতীয় মেধা তালিকা (বিশেষ কোটা যদি থাকে উল্লেখসহ) প্রকাশ করা হইবে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বর এর নীচে প্রাপ্ত প্রার্থীরা কোনোভাবেই ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবার পাঁচটি ইউনিটে তিন লাখ ২৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় হয়েছে ৩৫ কোটি টাকার বেশি।
এবার আসনপ্রতি সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে আইবিএ ইউনিটে। একটি আসনের জন্য ৮৫ জনের বেশি আবেদন করেছেন। আর সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের সময় বুধবার (২৭ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। পাঁচটি ইউনিটে তিন লাখ ২৯ হাজার ৪৩৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। গত ৪ নভেম্বর থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছিল আবেদন প্রক্রিয়া। সে হিসেবে আসনপ্রতি আবেদন পড়েছে ৫৫ টিরও বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবার আইবিএ বাদে বাকি চার ইউনিটে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৬৮ জন। এ চার ইউনিটের প্রতিটির আবেদন ফি ছিল ১ হাজার ৫০ টাকা। সে হিসেবে ৩৩ কোটি ৫১ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা আবেদন ফি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আর আইবিএ ইউনিটে ১০ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ফি ছিল দেড় হাজার টাকা। সে হিসেবে জমা হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে তিন লাখ ২৯ হাজার ৪৩৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৫ লাখ ৩১ হাজার ৪০০ টাকা। তবে আরও কিছু আবেদন বাড়বে। এতে টাকার অংকও বাড়বে। এ আয় থেকে ভর্তি পরীক্ষাসহ সার্বিক কার্যক্রম চালানো হবে। বাকি টাকা যোগ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের খাতে।
এর আগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত আবেদন পড়েছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৪টি। সে হিসেবে এবার ৪৩ হাজার ৪৪৪টি বেশি আবেদন পড়েছে। এবার ১ হাজার ৮৯৬ আসনের বিপরীতের সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে বিজ্ঞান ইউনিটে, ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৪টি। আসনপ্রতি ৭৭ জন আবেদন করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২ হাজার ৯৩৪ আসনের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮টি আবেদন পড়েছে। আসনপ্রতি আবেদন পড়েছে ৪৩টি। ১ হাজার ৫০ আসনের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য ৪০ হাজার ৯৭৩ জন আবেদন করেছেন। আসনপ্রতি ৩৯টির বেশি আবেদন পড়েছে।
চারুকলা ইউনিটে ১৩০টি আসনের জন্য ৬ হাজার ৮৩ জন আবেদন করেছেন। আসনপ্রতি আবেদন পড়েছে ৪৬টি। আর আইবিএ ইউনিটে ১২০টি আসনের জন্য ১০ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আসনপ্রতি আবেদন প্রায় ৮৬টি।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা কোন ইউনিটে কবে
১. কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: ২৫ জানুয়ারি (শনিবার)
২. বিজ্ঞান ইউনিট: ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)
৩. ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)
৪. চারুকলা ইউনিট (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন): ৪ জানুয়ারি (শনিবার )
৫. আইবিএ ইউনিট: ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার)
চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) একই দিনে বিধায় এ ইউনিটের এবং আইবিএ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। আর বিজ্ঞপ্তিতে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও পরে তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন আগামী ৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ১৬ জানুয়ারি ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। চূড়ান্ত আবেদন ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন হবে। ভর্তি পরীক্ষা ‘বি’ ইউনিট ১২ এপ্রিল, ‘এ’ ইউনিট ১৯ এপ্রিল ও ‘সি’ ইউনিট ২৬ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা তিন ইউনিটেই যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী যে ইউনিটেই আবেদন করুক না কেন, সে যে শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, সেই শাখার জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ভর্তির জন্য ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটে আছে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটে আছে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট। ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে আছে বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, ফিশারীজ এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফএ (প্রাক), বাংলাদেশ কারগরী শিক্ষাবোর্ডের আওতায় এইচএসসি ভোকেশনাল এবং ‘এ’ লেভেল সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভর্তির জন্য মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ মোট জিপিএ ৭.০০ এবং বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত দুটো বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় লেভেলে মোট ৭টি বিষয়ের মধ্যে ৪টি বিষয়ে কমপক্ষে ‘বি’ ও ৩টি বিষয়ে কমপক্ষে ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে।
ইংরেজি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীকে চূড়ান্ত আবেদনকালে অবশ্যই ইংরেজি প্রশ্নপত্রের জন্য অতিরিক্ত ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া ইউনিট/বিভাগ/ইনস্টিটিউট কর্তৃক আরোপিত শর্তও প্রযোজ্য হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘন্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০। অনলাইনে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী কোটায় ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রযোজ্য শর্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাবে।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রিলিমিনারি ও চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি এবং ২০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার দুই ধাপে রুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে আবেদনের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ২৪ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রিলিমিনারি বা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন থেকে প্রতিটি বিষয়ে ৩০টি প্রশ্ন ও ইংরেজি বিষয়ে ১০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর হবে এক করে।
লিখিত পরীক্ষার জন্য দুটি গ্রুপ রয়েছে
‘ক’ গ্রুপে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। ‘খ’ গ্রুপের অধীনে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ। 'ক' ও 'খ' উভয় গ্রুপে ৪০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে।লিখিত পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ,র সায়ন থেকে প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বর ও ইংরেজি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
পরবর্তীতে ‘খ’ গ্রুপ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ১০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১ স্নাতক কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত মতে, আগামী ২৪ জানুয়ারি অথবা ২৫ জানুয়ারি এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৬ নভেম্বর চুয়েটের ১৫৫তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাডেমিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্তক্রমে আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে স্নাতক ভর্তি কমিটি গঠিত হয়। একইদিন বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভাকক্ষে স্নাতক ভর্তি কমিটির (শিক্ষাবর্ষ-২০২৪-২৫) এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদি দ্রুততম সময়ে প্রকাশ করা হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ (স্নাতক) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ মার্চ। এবারও চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চবি ক্যাম্পাসে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি।
গত ২০ নভেম্বর ভর্তি কমিটি মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এবার বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা পহেলা মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে। এবার সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতবছর সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছিলো তবে, এবার আমরা তা কমিয়ে ৩ করেছি।
এ ছাড়া বি-২ নামে নতুন একটি উপ-ইউনিট করা হয়েছে। এখান আছে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ও আরবি সাহিত্য। অনেক সময় দেখা যায় এখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা আরবি পড়তেই জানেননা। এজন্য তাদের কথা বিবেচনা করে এ নতুন ইউনিট করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা যেহেতু রমজানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই আমরা সময়টা পরিবর্তন করেছি। এখন শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন দুপুর ১২টায় তাদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে এবং দুপুর ১টায় তাদের পরীক্ষা শেষ হবে। আমরা এবার সুন্দরভাবে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে পারবো বলে আশা রাখছি।
‘এ’ ইউনিট: বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের অধীনে রয়েছে চারটি অনুষদ। এগুলো হলো বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ। এই চার অনুষদে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ২১৫টি।
‘বি’ ইউনিট: কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ২২১টি। তবে এবার বি-১ উপ-ইউনিটের পাশাপাশি নতুন বি-২ উপ- ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বি-২ উপ-ইউনিটে যে দুটি বিভাগকে রাখা হয়েছে তা হলো ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি সাহিত্য। অন্যদিকে ‘বি-১’ উপ-ইউনিট (চারুকলা, নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ নিয়ে গঠিত) আসন রয়েছে ১২৫টি।
‘সি’ ইউনিট: ব্যবসা প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৬৪০টি। ‘ডি’ ইউনিট: সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৯৫৮টি। অন্যদিকে ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে আসন ৩০টি।
পরীক্ষার সূচি: আগামী ১ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। ৮ মার্চ ‘বি’ ইউনিট, ১৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট এবং ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা। এছাড়া ‘বি-১’ উপ-ইউনিট, বি-২ উপ-ইউনিট ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুতই জানানো হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেছে। পরীক্ষা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। বিভিন্ন ইউনিটের পরীক্ষা চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অনলাইন আবেদন ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহষ্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানান জাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা। তিনি আরও জানান, এবার জাবিতে ভর্তি ক্ষেত্রে থাকছে না মুক্তিযোদ্ধা নাতি–নাতনী কোটা। এ ছাড়াও দ্রুতই অন্যান্য কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা জানান, অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা আবার বসব। ইউনিটভিত্তিক কত আবেদন পড়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এবার সব মিলিয়ে ১০টি ইউনিটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক অনুষদ ও ইনস্টিটিউট আলাদা আলাদা ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ ‘এ’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিষয় গুলো হলো : গণিত, স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ বিজ্ঞান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি।
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের জন্য ‘বি’ ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো গুলো হলো: অর্থনীতি, ভূগোল ও পরিবেশ, সরকার ও রাজনীতি, নৃবিজ্ঞান, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, লোক প্রশাসন। ‘সি’ ইউনিটে থাকছে কলা ও মানবিকী অনুষদ। এই অনুষদের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো: বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, প্রত্নতত্ত্ব, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ। এ ছাড়া নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকরা বিভাগে আলাদা ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা ‘ডি’ ইউনিটে গ্রহণ করা হবে। এই ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো: উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, ফার্মেসী, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি,বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক হেলথ্ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ।
‘ই’ ইউনিটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই অনুষদের অন্তর্ভুক্ত বিষয় গুলো হলো : ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ‘এইচ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নিবেন। আইন অনুষদ ‘এফ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নিবেন। আইন ও বিচার বিভা