ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের প্রস্তুতিতে যা করবেন, করবেন না

ঢাবি ব্যবসায় অনুষদ
ঢাবি ব্যবসায় অনুষদ

দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা। ইতিমধ্যে ভর্তিচ্ছুদের সকল প্রস্তুতি সমাপ্তির পথে। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তিচ্ছুদের জন্য থাকছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ যা তাদের এ যাত্রায় সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। 

প্রথমে মাথায় রাখতে হবে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ক্ষেত্রে ইংরেজি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ই ইংরেজিতে নির্ধারিত নম্বর থাকে না তবে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষায় ৫ নম্বর তুলতেই হয়। এজন্য ইংরেজি বিষয়ে একটাই টিপস, যত বেশি সম্ভব বিগত বছরের প্রশ্নে প্র্যাক্টিস করতে হবে। 

বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নিজের দুর্বলতার জায়গা চিহ্নিত করতে হবে। সেই বিষয়ে বেশি সময় দিতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে। কে কীভাবে পড়ছে, বেশি পড়ছে না কম পড়ছে এসব তুলনায় না গিয়ে নিজের দিকে ফোকাস করাটা বেশি জরুরি। 

পরীক্ষার মধ্যে কিছুটা নার্ভাসনেস কাজ করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক হল অতিরিক্ত নার্ভাস হয়ে জানা জিনিসও ভুল করে আসা! এরকম মানুষের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। অনেকে ভর্তি পরীক্ষাটাকে ‘দেড় ঘণ্টার খেলা’ হিসেবে অভিহিত করেন। কথাটা ভুল নয়। ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে হবে। যেহেতু প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, সামান্য একটু ভুলও তোমাকে নিয়ে যেতে পারে তোমার স্বপ্ন থেকে অনেক অনেক দূরে।

সব বিষয়ই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ইংরেজিতে আলাদাভাবে পাশ মার্ক তুলতে হয় তাই ইংরেজিতে একটু জোর দেয়া ভালো। এখানে বলে রাখা ভালো যে, পরীক্ষা হলে ইংরেজি অংশটা একদম শেষে উত্তর করার ব্যাপারটা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। কারণ, কোনোভাবে যদি সময় শেষ হয়ে যায় আর ইংরেজি থেকে নম্বর ছেড়ে আসতে হয় তাহলে পাশ করাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে উচ্চমাধ্যমিকে মার্কেটিং পড়লে কি ফিন্যান্সের উত্তর করা যাবে? এর উত্তর হলো আপনি যে কোনোটাতেই উত্তর করতে পারবেন। এটি চান্স পাওয়ার পর বিষয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

বহুনির্বাচনী প্রশ্নের নেগেটিভ নম্বর থাকে এক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার কোনো প্রশ্নই কারও শতভাগ কমন পড়ে না। এমন অনেক প্রশ্ন থাকে যা আমরা কখনও শুনি নি বা পড়ি নি। এধরণের প্রশ্নগুলো একেবারে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কখনও এমন প্রশ্ন আসে যা সম্পর্কে আমাদের পুরোপুরি না হলেও কিছুটা ধারণা রয়েছে; সেসব উত্তর করার চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। যেগুলো সম্পর্কে একেবারেই ধারণা নেই তা উত্তর করার দরকার নেই।


সর্বশেষ সংবাদ