জাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবিতে আল্টিমেটাম, ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৮ PM , আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ AM

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা না হলে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী বৃহস্পতিবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ঘোষণার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। অন্যথায় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষার্থীরা এ হুঁশিয়ারি দেন। তারা বলছেন, জাকসু নির্বাচন রোডম্যাপ ঘোষণা করার পর শনিবার তফসিল ঘোষণার তারিখ ছিল। কিন্তু জাকসু বানচালের চেষ্টা চালানো কিছু অছাত্রের ফাঁদে পা দিয়েছে প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লন্ডনে বসে থাকা নেতার ইঙ্গিতে তারা জাকসু নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার তারিখ বিলম্বিত করছে। প্রশাসনের এ তালবাহানা রুখে দিয়ে নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা করা না হলে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘অবস্থান কর্মসূচি শেষে আমরা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা দাবি বাস্তবায়নে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা সভায় বসি। সভায় তফসিল ঘোষণায় প্রথমে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। তবে প্রশাসনের সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে আমরা আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তফসিল ঘোষণার কথা বলেছি। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছি।’
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে বিশ্ববদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু নির্বাচনের আগে কয়েক দফা সংস্কারের দাবি জানানো শাখা ছাত্রদল বিকেল সাড়ে ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
আরো পড়ুন: আবারও বাঁশ দিয়ে সড়ক আটকে দিলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা
এ কর্মসূচির প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান জাকসু নির্বাচন নিয়ে পরিবেশ পরিষদের সভা করছিলেন। সভা শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম পরিবেশ পরিষদের সভার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এসব বক্তব্য কালক্ষেপণ বলে আখ্যা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন উপাচার্য।
এ সময় উপাচার্য কামরুল আহসান বলেন, জাকসুর কিছু মৌলিক সংস্কারের জন্য সময় প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে আজকে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাকসু সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।