ভর্তিচ্ছুদের পাশে জবির ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো
- জবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৩ PM , আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ AM

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘ডি’ ইউনিট সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম শিফটের পরীক্ষা সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে। দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা শুরু হবে বেলা সাড়ে ৩টায়। এ সময় পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো নানা উদ্যোগ নিয়ে ক্যাম্পাস এলাকায় সহায়তা বুথ স্থাপন করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল দুইটি, শাখা ছাত্রশিবির তিনটি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন একটি ও ছাত্র অধিকার পরিষদ একটি সহায়তা বুথ স্থাপন করেছে।
আরো পড়ুন: জবির ‘ডি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের প্রশ্নপত্র
এসব সহায়তা বুথ থেকে পরীক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানি, কলম, ফাইল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও মূল্যবান সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য টোকেন ভিত্তিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা হিসেবে নাপা, স্যালাইন ও পানির ব্যবস্থাও করেছে ছাত্র সংগঠনগুলো।
জবি শাখা ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর ইসলাম আলিম বলেন, ‘শুধু ভর্তি শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কাজ করে। এটা তারই একটা ক্ষুদ্র অংশ। আমরা তিনটি সহায়তা বুথ বসিয়েছি। একটি অবিভাবকদের জন্য, একটি বিশ্রামের জন্য এবং একটি শিক্ষার্থীদের সহায়তায়। পাশাপাশি আমরা একটি কম্পিউটার ও প্রিন্টার ফটোকপি মেশিন রেখেছি। শিক্ষার্থীদের যেকোনো সহোযোগিতায় আমরা উপস্থিত আছি, থাকবো।’
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানি, ফাইল, স্কেল, কলমসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করছি। ব্যাগ ও মোবাইল সংরক্ষণের জন্য টোকেন পদ্ধতিতে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রধান ফটক ও তৃতীয় ফটকের সামনে অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা করেছি।’
আরো পড়ুন: জবি ‘ডি’ ইউনিটের ফল কবে, জানালেন উপাচার্য
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা পরীক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের জন্য সহায়তা ব্যবস্থা রেখেছি। পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি কলম উপহার দিচ্ছি, পাশাপাশি ব্যাগ সংরক্ষণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।’
শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। মোবাইল ও ব্যাগ সংরক্ষণের জন্য 'ইসলামী ছাত্র আন্দোলন' লেখা টোকেন দেওয়া হচ্ছে, যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়।’