হয়তো ওরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে, দ্বিতীয়বার!

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সকাল ১০ টা। ঝুলে আছি আমি। শীতের এই দিনে এখনো না ঘুমানোটা নিজের প্রতিই একটা অন্যায় বলে মনে হয়। ওহ! বলা হয়নি আমি তো আমাকে দেখতে পারছি। নিজেকে দেখার জন্য এখন আর আয়নার প্রয়োজন হচ্ছে না। দেখতে পাচ্ছি আমি ঝুলে আছি। 

দুপুর ২ টায় দেখতে পেলাম দরজা খুলে কিছু লোক আসল। তাদের মধ্যে ৩ জন আমাকে ধরে নামিয়ে একেবারে বিল্ডিংয়ের নিচে নিয়ে আসল। তারা ৩ জনই পোষাকধারী।      

বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে? আমার চাচাকে দেখতে পাচ্ছি না। এলাকার সবাই জড়ো হয়েছেন। কেউ কেউ বলছে, ‘মেয়েটা এই কাজটা কেন করল!’ কেউ কেউ বলছে,‘আহারে! প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার পরিনতি এই!’

কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমার দুই বান্ধবী আসল। নিশি আর রিম। নিশি কাঁদছে। কী হয়েছে! কেন কাঁদছে নিশি। কান্না থামানোর জন্য আমি জড়িয়ে ধরতে গেলাম। কিন্তু পারলাম না!

তাকিয়ে দেখি আমি শুয়ে আছি সিড়িঘরের পাশে। সাদা চাদরে মোড়ানো আমি। আমার আর ভাল লাগছে না। জোর করে ডাকলাম নিশিকে। নিশি উত্তর দিল না। শুনতে পেল না...নাকি?

একটু পরে দেখলাম একটা অ্যাম্বুলেন্স এল। আমাকে ধরে কয়েকজন একটা কাপড়ের ব্যাগের ভিতর রাখল। খুব ভয় হচ্ছিল তখন। কিচ্ছু দেখতে পারছিলাম না। কী চায় ওরা! আমাকে কি মেরে ফেলবে? বুঝলাম না।

আরো পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পদ প্রত্যাখান ঢাবি ছাত্রের

একটু পরে আমার আরও কয়েকজন বন্ধু আসল। ওরাও দেখি কান্নাকাটি করছে। বুঝতে পারছি না কিছুই। আমার বাসায় আসল অথচ আমার সাথে কথা বলল না। একটু পরে আবার সবাই চলেও গেল।

কিছুক্ষণ পরে আমাকে কয়েকজন ধরে এম্বুলেন্সে তুলল। আমি প্রতিবাদ করতে গেলাম। উঠব না এই গাড়িতে। তবু পারলাম না। কী জানি! হয়তো ওরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে... দ্বিতীয়বার?


সর্বশেষ সংবাদ