খাসির পেটে পাইপ ঢুকিয়ে প্রতারণা, চৌদ্দগ্রামে ৯ জনের কারাদণ্ড
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০০ PM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ AM

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে খাসি এবং বকরির পেটের মধ্যে পাইপ ঢুকিয়ে পানি ভরে ওজন বাড়ানো এবং মোটাতাজা দেখিয়ে নিষ্ঠুরতা ও প্রতারণার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ৯ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরস্বান্নী বাজার পশুর হাট এলাকায় উপজেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে এই পশুর হাটে খাসি ও বকরি বিক্রয় করার পূর্বে পেটের মধ্যে পাইপ ঢুকিয়ে পানি ঢেলে ওজন বাড়ানো এবং পেট ফুলানো হয়। ইতঃপূর্বে অনেকে খাসিও বকরি ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় বা বাসায় যাওয়ার পর মারা যায়।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেন কয়েকদিন যাবত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লোকজন নিয়োগ করে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ স্বয়ং নিজে ক্রেতা সেজে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে খাসি ও বকরির পেটের মধ্যে পাইপ ঢুকিয়ে পনি ঢালতে থাকা অবস্থায় হাতেনাতে ৯ জনকে এবং বিভিন্ন রঙের ৬৮টি খাসি এবং বকরি আটক করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গীয় আনসার বাহিনীর সদস্য ও কার্যালয়ের স্টাফ এবং থানা পুলিশের একটু চৌকস টিম এই মোবাইল কোর্টকে সহায়তা করেন। কোর্ট চলাকালে স্থানীয় জনগণ, বাজার কমিটি ও বাজারের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন, মহাসড়কের বিভিন্ন গাড়ির ড্রাইভারগণ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ অনুযায়ী হাতেনাতে ধৃত ৯ আসামির ৪ জনের প্রত্যেককে ১ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ জনের প্রত্যেককে ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও আটককৃত ৬৮টি খাসি/বকরির মধ্যে একটির মুখ এবং মলদ্বার দিয়ে পানি বের হতে থাকা অবস্থায় তৎক্ষণাৎ ঘটনা স্থলে মারা যায়। যা নির্দোষ আবলা প্রাণীর প্রতি মানুষের এক নিষ্ঠুরতম ও জঘন্যতম আচরণ। অবশিষ্ট ৬৭টি খাসি/বকরির স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় ব্যক্তি পেয়ার আহম্মেদ এর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও পালনের শর্তে আদালতের আদেশ অনুযায়ী জিম্মা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেন জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ। এই অভিযান আগামীতেও চলমান থাকবে।