ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সায়েন্স ও আর্টস ফ্যাকাল্টি কেন সেরা, কেন পড়বেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪২ PM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ AM

শিক্ষা-প্রযুক্তি আর জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এক ব্র্যান্ড মালয়েশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে গড়ে উঠেছে বিশ্বমানের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। এখানে পড়াশোনা করেন শতাধিক দেশের শিক্ষার্থী। আনন্দের বিষয় হলো, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির শাখা বাংলাদেশে চালু হয়েছে। রাজধানীর বনানীতে স্থাপিত হয়েছে তাদের অত্যাধুনিক ক্যাম্পাস। সেখানে কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস ফ্যাকাল্টির বিষয় নিয়ে যেমন অনার্স করা যাবে, তেমনই সোশ্যাল সায়েন্স ও আর্টস ফ্যাকাল্টির বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকে পড়াশোনা করা যাবে।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সায়েন্স ও আর্টস ফ্যাকাল্টি খ্যাতি সারা বিশ্বেই আছে। এখানের অসংখ্য গ্র্যাজুয়েট সারা বিশ্বেই সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন, দেশবিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সায়েন্স ও আর্টস ফ্যাকাল্টির বিভিন্ন বিষয়ে যারা পড়াশোনা করেন, তাদের উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিভিন্ন স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য সুযোগ রয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞানের প্রায় সব বিষয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে এই অনুষদের বিষয়গুলো।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থায় কাজের জন্য সুযোগ রয়েছে এ অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা থাকা সাপেক্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত বিষয়ের স্নাতকেরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা, টেলিভিশন ও ফিল্মের মতো বিশেষায়িত বিষয়ের পাশাপাশি সামাজিক বিজ্ঞানের অন্য গ্র্যাজুয়েটরাও আধুনিক মিডিয়া খাতগুলোয় কাজ করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। এ জন্য এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
কেন পড়বেন ইউসিএসআইতে
ইউসিএসআইয়ের ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস অনুষদে মাস কমিউনিকেশন এবং সাইকোলজি বিষয়ে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষম ও সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জন সক্ষম করে তুলতে বদ্ধপরিকর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা গবেষণা, সৃজনশীল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি থাকায় পড়ালেখা শেষে ইন্টার্ন ও চাকরির ক্ষেত্রেও সুবিধা পেয়ে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা
ইউসিএসআইতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক অ্যাকাডেমিক কর্মশালা, সেমিনার, সমাবেশ ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যা তাদের অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ ও লাভজনক ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক। গবেষণা ও শিক্ষাদানে উদ্ভাবনী পরিবেশ এবং উৎকর্ষ সাধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাতে তারা জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবসম্পদের চাহিদা পূরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ উভয় দেশের সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দেশের প্রথম ফরেন ইউনিভার্সিটির শাখা ক্যাম্পাস চালু করেছে ইউসিএসআই। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ইউসিএসআই ২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে ২৬৫তম, এশিয়ার মধ্যে ৪৫, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নবম অবস্থানে রয়েছে। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের ইউনিভার্সিটিতে পড়ার পরিবেশ পাচ্ছেন।
মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম অনুসরণ করে পাঠদান দিয়ে থাকে ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারিকুলাম গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা ও সম্প্রচারসহ এই শিল্পের প্রাসঙ্গিক প্রোগ্রামের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেমন মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র এবং শিল্প-ডিজাইন গ্যালারি পরিদর্শন ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষার্থীদের বহুমুখী শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ক্যাম্পাস
ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি ঢাকার বনানী এলাকায় ১৫ তলা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত, যা ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এই ক্যাম্পাসে গ্লোবার স্মার্ট ক্লাসরুম, ইন্টারঅ্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা, প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব, বিষয়ভিত্তিক বিবিধ বইয়ের সমাহারে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং মালয়েশিয়ার মূল ক্যাম্পাসের সঙ্গে যুক্ত অনলাইন লাইব্রেরি সুবিধা রয়েছে।
বসন্ত বরণে অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন, যেখানে তারা বিভিন্ন খেলাধুলার সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনের জন্য রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স ও স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে সহায়তা করতে কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টি-কালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট ট্রান্সফার
শিক্ষার্থীদের জন্য আছে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে।
অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী
ইউসিএসআই ক্যাম্পাসে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউসিএসআই।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ডিন, এফবিএম এবং প্রভোস্ট
ডলার বাঁচান, নিজে পড়ুন, দেশ বাঁচান
বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে গেলে টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতে বিশাল খরচ হয়, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ইউসিএসআই বাংলাদেশেই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে, তাও বিদেশের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি দেশের একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়ও কম। ডলারের অস্থির বিনিময় হার ও ক্রমবর্ধমান টিউশন ফি অনেকের স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউসিএসআই শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা সহজলভ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেন তারা দেশে থেকেই উন্নত শিক্ষার সুযোগ পায়।
উজ্জ্বল ক্যারিয়ার বিপুল গড়ার সম্ভাবনা
মাস কমিউনিকেশনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বহুবিধ সম্ভাবনার দুয়ার খোলা। মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন শাখায় কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। যেমন সম্প্রচার গণমাধ্যম বা ব্রডকাস্ট মিডিয়া, যেমন টেলিভিশন ও রেডিও, প্রিন্ট এবং অনলাইন মিডিয়া, ফটো জার্নালিজম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মিডিয়া মার্কেটিং, পাবলিকেশন বা প্রকাশনা শিল্প, অ্যাডভার্টাইজিং, পাবলিক রিলেশন ও করপোরেট কমিউনিকেশন, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডিটর, রাইটার, রিসার্চার, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি। এ ছাড়া পাবলিক রিলেশন স্পেশালিস্ট, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অফিসার, ডিপ্লোমেটিক সার্ভিস অফিসার, অ্যাডভার্টাইজিং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে ক্যারিয়ার গড়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সাইকোলজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেমনোচিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে পারেন। হাসপাতাল, ক্লিনিক বা কমিউনিটি সেন্টারে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাবিষয়ককর্মসংস্থান, অধ্যাপনা, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া
শিক্ষার্থীদের জটিলতা বিশ্লেষণের ক্ষমতা গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য জানিয়ে ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের এই ফ্যাকাল্টির পাঠ্যক্রম বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করি। আশা করি, তারা নিজেদের সম্ভাবনা চেনার এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের পরিবর্তনশীল নেতা হতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে আমরা কাজ করছি।’
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক বলেন, ‘ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল সায়েন্সের জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করাবে। আমরা চেষ্টা করছি এমন ধরনের শিক্ষা নিশ্চিত করতে, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী চিন্তা এবং গঠন মূলক সমালোচনার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীরা যেন নতুন ভাবনার সন্ধান পান। আমরা আশা করি, এই বিভাগ থেকে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।’