ছুরিকাঘাতে আহত অটোরিকশা চালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫১ PM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ AM

গভীররাতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন অটোরিকশা চালক মো. ইব্রাহিম। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. সামিউল হক। তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা করেন চার ব্যাগ রক্তের। তার আপ্রাণ চেষ্টায় বেঁচে যায় অটোরিকশা চালক ইব্রাহিমের প্রাণ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর মসজিদের সামনের রাস্তায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন ইব্রাহিম। ছিনতাইকারীদের উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মসজিদের পাশের সড়কে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন সামিউল হক।
অটোরিকশা চালক ইব্রাহিমের বাড়ি বগুড়া মালতিনগর এলাকার ভাটকান্দি ব্রিজের পাশে। স্ত্রী মো. শাহানারা বেগম এবং দুই সন্তান নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করেন তিনি। পেশায় অটোরিক্সচালক হলেও মাঝে মাঝে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির কাজও করেন ইব্রাহিম।
ইব্রাহিমের স্ত্রী মোছা. শাহানারা বেগম জানান, ‘সামিউল ভাই আমার স্বামীকে যথা সময়ে হাসপাতালে নিয়ে না আসলে হয়তো তাকে জীবিত পাওয়া যেত না। স্বামীর লাশ দেখতে হতো। আমার স্বামীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। রক্তের ব্যবস্থা করেছেন, ওষুধ কিনে দিয়েছেন, সবশেষ আর্থিক সহায়তাও করেছেন। আল্লাহ এমন মানুষকে দীর্ঘায়ু করুক। জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ। আল্লাহ হয়তো সামিউল ভাইকে মাধ্যম হিসেবে পাঠিয়েছেন।’
দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা সামিউল হক বর্তমানে ‘বগুড়া জেলা মিশুক বেবি টেক্সি, টেক্সি কার ও সিএনজি চালিত অটো রিক্সা পরিবহন মালিক সমিতি’র (রেজি: রাজ-৯১২) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘কাজ শেষে চকসুত্রাপুর দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। মসজিদের পাশে একজনকে পড়ে থাকতে দেখে গাড়ি থামিয়ে তার কাছে যাই। এ সময় ইব্রাহিমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। কোনো কিছু না ভেবে দ্রুত তাকে হাসপাতলে নিয়ে যাই। একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পেরেছি এটি আমার জন্য অনেক বড় বিষয়।’