ফেনীতে ঈদের পর ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম

সবজির দোকান
সবজির দোকান

ঈদুল ফিতরের পর ফেনীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকলেও গরমে সবজি দীর্ঘক্ষণ তাজা রাখা যাচ্ছে না যার কারণে সবজি দ্রুত পচে যাচ্ছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তাই কিছুটা বেশি দাম রাখতে হয় বলে জানান তারা।

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগের সময়টায় সবজির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও ঈদের পরপরই হঠাৎই বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে।

আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) ফেনী পৌর হকার্স মার্কেট, বড় বাজার, মুক্ত বাজার, মহিপাল বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, পটল ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা ও আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে।

আরও পড়ুন: পাবলিক পরীক্ষার জন্য স্বতন্ত্র কেন্দ্রের সুপারিশ, কার্যকর কবে?

শহরের মুক্তবাজারের খুচরা বিক্রেতা জাফর আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এই গরমে সবজির অবস্থা খুবই খারাপ। সকালে যেই সবজি তাজা থাকে, দুপুরের মধ্যে তা নরম হয়ে যায়। অনেক সময় বিক্রিও কমে যায়। কারণ, ক্রেতারা তাজা সবজি চায়। আমরা লাভ করার জন্য না টিকে থাকার জন্যই কিছুটা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি।’

মহিপাল কাঁচাবাজারের জসিম নামের আরেক বিক্রেতা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এই গরমের সময়ে সবজি তাজা রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সকালবেলা যে সবজি তাজা থাকে, দুপুর থেকে বিকালের দিকে তা অনেক সময় পচে যায়। ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শীতকালে বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম ছিল, কারণ তখন সবজি তাজা থাকতো এবং পচে যেতো না।’

বড় বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শাহ আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখন গ্রীষ্মের মৌসুম চলছে, এ সময়ে সবজির দাম ওঠানামা করাটা স্বাভাবিক। আবহাওয়ার প্রভাব, সরবরাহের পরিমাণ ও চাহিদার ভিত্তিতে কখনো দাম কমে, আবার কখনো বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ পুনর্বহালের দাবি ঢাবি শিক্ষকদের

শারমিন আক্তার নামের এক ক্রেতা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ঈদের পর সবজির দাম দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলোর দাম কিছুটা বেশি। ঈদের আগে করলা কিনেছিলাম ৫০-৬০ টাকা করে, যা এখন বেড়ে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রশাসন যদি বাজার মনিটরিং বাড়ায়, তবে দাম আগের মতো স্থিতিশীল থাকবে।’

মুনতাসির মাহমুদ নামে অপর এক ক্রেতা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গ্রীষ্মকালীন প্রতিটি সবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। যখন বিক্রেতাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়, তারা জানান যে সরবরাহের অভাব এবং গরমের কারণে সবজি দ্রুত পচে যায়, ফলে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হয়।


সর্বশেষ সংবাদ