রোজার পর ঢাবিতে যান চলাচল ফের সীমিত হচ্ছে, ভবঘুরে উচ্ছেদে চলবে অভিযান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

রোজার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ফের যানবাহন চলাচল সীমিত ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাস থেকে ভবঘুরে ও উদ্বাস্তু উচ্ছেদে অভিযানও চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ।

আজ রবিবার (৯ মার্চ) বিকেলে ঢাবির প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস ব্রিফিং

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাইরের মানুষের ভিড় কমাতে গত ১৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে যানবাহন ও বহিরাগতদের চলাচল সীমিত করতে সাতটি প্রবেশপথে ব্যারিকেড দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোয় বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং অন্যান্য দিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ও জরুরি সেবা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশনা দেয়।

তবে দেড় মাসের মাথায় এসে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে গত জানুয়ারির শেষে এ সিদ্ধান্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গত ৩১ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না বলে জানিয়েছিল। এদিকে, বইমেলা শেষে শুরু হয় রমজান মাস। এ উপলক্ষেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবেনা বলে জানান প্রক্টর।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী কর্তৃক এক ছাত্রী ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনাসহ ক্যাম্পাসে সম্প্রতি ঘটা একাধিক ঘটনার প্রতি প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জবাবে প্রক্টর বলেন, ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে প্রবেশপথে ব্যারিকেড দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে বইমেলার সময় এটা শিথিল রাখতে হয়েছে এবং রোজার সময়ও শিথিল রেখেছি। কারণ রোজার দিনে অফিসগামীদের ছুটির পর দ্রুত যাতায়াত করতে হয়। ফলে যাতে কেউ ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য আমরা শিথিল রেখেছি। তাছাড়া আমাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন অনেকেই ইফতার করার জন্য ক্যাম্পাসে আসেন, সেজন্য তারা যেন হয়রানি না হয়। এ কারণেও বিধিনিষেধ শিথিল রেখেছি। আশা করি, আমরা রোজার পর আগের ফর্মে ফিরে যাবো।

ক্যাম্পাসে ভবঘুরে প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে আগের মতো বিধিনিষেধ দেওয়া হলে এই বিষয়টি আমার মিনিমাইজ করতে পারবো। আমাদের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা হয়েছে। 

‘‘ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো যারা করছে তারা ভবঘুরে ও নেশাগ্রস্ত। এখন তারা ক্যাম্পাসে বিনা বাধায় বিচরণ করছে। মেট্রোরেল হওয়াতে তাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে তাদের উচ্ছেদে আইনগত পদ্ধতি ছাড়া করা যায় না। সেটাও আমরা রোজার পরে খুব ব্যাপকভাবে শুরু করবো। বিধিনিষেধ ফের আরোপ করলে আশা করি সেটা আর থাকবে না।’’

প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ