২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং কনফারেন্স শুরু

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কনফারেন্স অন ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং অ্যান্ড সিস্টেমস’ শীর্ষক কনফারেন্স শুরু হয়েছে

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইংঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কনফারেন্স অন ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং অ্যান্ড সিস্টেমস’ শীর্ষক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। দু’দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের শেষদিন আজ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এ কনফারেন্সের প্রথম পর্ব শুরু হয় বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইংঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের ইউনিভার্সিটি অব টোকিও’র ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. কেইকিচি হিরোসে এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান, নির্বাহী পরিচালক শামীম আহসান পারভেজ, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডলসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন অপরিহার্য। আমাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে এবং প্রযুক্তির নতুন সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে এ ধরনের কনফারেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতেও এ ধরনের কনফারেন্স আয়োজন করবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা ও জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং ও সিস্টেমসংক্রান্ত গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন সম্ভব। এ ধরনের কনফারেন্স শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী হতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

প্রধান অতিথি হাফিজুর রহমান খান বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করতে এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তরুণদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তারা আগামী দিনের উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে উঠবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. কেইকিচি হিরোসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, স্মার্ট প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চলেছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ড. আনন্দ কুমার সাহা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে এবং প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখতে পারে।

আরো পড়ুন: পবিপ্রবির এএনএসভিএম অনুষদের নতুন ডিন ড. জাহাঙ্গীর আলম

কনফারেন্সের প্রথম দিনের টেকনিক্যাল সেশনে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইউনিভার্সিটি কেবাংসান, মালয়েশিয়া’র ইইএসই বিভাগের অধ্যাপক শাওয়াল হামিদ বিন মোহাম্মদ আলী এবং আইসিটিপি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মামুন বিন ইবনে বিয়াজ।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহ দিতে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ এবং সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. ফারজানা আলম। দ্বিতীয় দিনের সেশনে মুখ্য আলোচক হিসেবে থাকবেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. কেইকিচি হিরোসে ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি-এর অধ্যাপক ড. এম. কায়কোবাদ।

দুই দিনব্যাপী এ কনফারেন্সে দেশবরেণ্য ও আন্তর্জাতিক গবেষকগণ ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং ও সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং সাইবার সিকিউরিটিসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করবেন।