ববি উপ-উপাচার্যের নোটিশ বিধি বহির্ভূত বলে উপাচার্যের পাল্টা নোটিশ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সব বিভাগের চেয়ারম্যানকে দেওয়া উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানির নোটিশকে অবৈধ বলে পরদিন পাল্টা নোটিশ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন। গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সব বিভাগের অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একটি সভার আহবান করেন উপ-উপাচার্য। তার নোটিশকে বিধি বহির্ভূত উল্লেখ করে চেয়ারম্যানদের সাড়া না দেওয়ার আহবান জানিয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পাল্টা আরেকটি নোটিশ জারি করেন উপাচার্য।

উপ-উপাচার্য কার্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সাকিজ উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপ-উপাচার্যের অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে একটি সভা আহবান করা হয়েছে। সেখানে সব বিভাগের চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পাল্টা নোটিশে বলা হয়েছে, আপনারা অবগত আছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন উপাচার্য। তার নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো পত্র কোনো দপ্তর প্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর উদ্দেশ্যে পাঠাতে পারেন না। 

যদি কেউ এমন পত্র পাঠান, সেটি বিধি বহির্ভূত। সঙ্গত কারণে উপ-উপাচার্যের নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটি নিয়ম বহির্ভূত। উক্ত পত্রটি কোনোভাবেই কোনো শিক্ষককে আমলে না নেয়ার জন্য উপাচার্যের নিদের্শক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আরো পড়ুন: বিধি বহির্ভূত ৩৩ কর্মকর্তার পদোন্নতিকে ‘নিয়মে’ আনছে ইউজিসি, আরো যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি

পাল্টা নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্যের নির্দেশক্রমে আমি চিঠি দিয়েছি। তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমি চিঠি পাঠিয়েছি। আমি উপাচার্যের সচিব। উপাচার্যের আদেশ-নির্দেশ শোনাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কাজ।’

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি বলেন, ‘আমাকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব আমার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সুস্পষ্টভাবে তা বলা আছে। আমি অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কি বসতে পারি না? এটা বিধিবহির্ভূত হয় কিভাবে? আমাকে অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব গত তিন মাসেও বুঝিয়ে না দিয়ে তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন।’

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ