মর্জি মাফিক নিয়োগ-ছাঁটাইয়ে সর্বেসর্বা সিটি ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. লুৎফর

সিটি ইউনিভার্সিটির লোগো এবং উপাচার্যের ছবি
সিটি ইউনিভার্সিটির লোগো এবং উপাচার্যের ছবি

সিটি ইউনিভার্সিটি। দুই যুগ ধরে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা বেসরকারি এ উচ্চশিক্ষালয়টির উপাচার্যের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একগুচ্ছ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বল প্রয়োগ করে শিক্ষক-কর্মকর্তা ছাঁটাই, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, সিন্ডিকেট আয়োজনে অনীহা এবং ভিসির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব না দিয়েই ক্যাম্পাস ত্যাগ করার মত বিষয়ে অসন্তোষ বাড়ছে ক্যাম্পfস সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান তোয়াক্কা করেন না কাউকেই। 

যদিও এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভিসি ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘যারা চাকরি ছেড়েছেন, তারা অযোগ্য। চাকরি ছাড়ার ক্ষেত্রে কাউকে বাধ্য করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

যদিও বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়াদের একজন প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুরু থেকেই আমি দায়িত্বে ছিলাম। একইসাথে বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্বও দীর্ঘদিন পালন করেছি। আমার হাত ধরেই বিভাগটি অনেকদূর এগিয়েছে। কিন্তু বর্তমান ভিসি দায়িত্ব নেয়ার পরেই আমাকে ডেকে বলেন, আপনি অন্য কোথাও চলে যান। এখানে আর আপনার প্রয়োজন নেই। আমি হতবাক হয়ে যাই। কারণ প্রশাসন আমার যোগ্যতার বিষয়ে কোথাও কোনো ত্রুটি দেখাতে পারেনি।

তিনি আরো বলেন, আমি চলে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষক চাকরি ছেড়ে অন্যত্রে চলে গেছেন। এককথায় বিভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে এটি অনেক বড় একটা ধাক্কা। তবে আমি অযোগ্য ছিলাম না। সেখান থেকে চলে আসার অল্প কয়েকদিনের মধ্যে আমাকে অন্য আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ডেকে নেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী সরকারের সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকায় খেয়ালখুশি মত বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন উপাচার্য ড. লুৎফর। মতের অমিল হলে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার তো করেনই, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণেও একক কর্তৃত্ব বজায় রাখছেন সব ক্ষেত্রে— এমনটাই অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপাচার্য হিসেবে ড. মো. লুৎফর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হেড প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী খান নয়, আরও কয়েকজন শিক্ষক চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এরমধ্যে বিভাগটির সাবেক প্রধান ড. মো. শওকত আলী খানকে চাকরি থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগে করতে বাধ্য করান উপাচার্য। সূত্রের তথ্য, বিভাগটিতে বর্তমানে একমাত্র অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান। অন্যদিকে ড. মো. শওকত আলী খান বর্তমানে অন্য একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।

চাকরি ছেড়ে অন্যত্রে চলে যাওয়ার এ তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যলয়টির সিএসই বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, সহযোগী অধ্যাপক মো. শাফায়েত হোসেন, সহকারী অধ্যাপক আয়েশা সিদ্দীকা, প্রভাষক পদে থাকা সমরাট আলী আবু কাউসার,ফার্মেসী বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুর রহমান এবং জেনেরাল এডুকেশন বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক  ড. নাজমুল হুদা। এছাড়াও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক পদে থাকা শামিম রায়হান, জাহিদ হাসান, সোহেল রানা, মাসুদ রানা, শুভ্রত সাহা এবং গনিত বিভাগ থেকে চলে যাওয়া আরিফুল ইসলাম।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়া এসব শিক্ষক স্বল্প সময়ে পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে বেশি সুযোগ নিয়ে যোগদান করেন। যদিও ভিসি লুৎফরের ভাষ্য, যোগ্যতা না থাকায় এসব শিক্ষকরা অন্যত্রে চলে যান। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, অধ্যাপক ড. শওকত আলীর ওই ঘটনার পর চাকরির অনিশ্চয়তা কাটাতে অন্য শিক্ষকরাও বিভাগটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে থাকেন। সর্বশেষ তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়টির সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং তথা সিএসই এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসহ বিজ্ঞান অনুষদ থেকেই অন্তত ২০ জন শিক্ষক চাকরি ছেড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেখা দিয়েছে সিনিয়র শিক্ষক সংকট। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ‍ভিসি লুৎফর ছাড়া অধ্যাপক পদমর্যাদার আর কোনো শিক্ষক নেই। এতে নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভাগটির অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমেও।  

চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়া এসব শিক্ষকদের মধ্যে অন্তত পাঁচজনের সাথে যোগাযোগ করেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। তাদের বক্তব্য, ভিসি লুৎফর রহমানের আচরণে অনেকটাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন তারা। পাশাপাশি ভিসি কর্তৃক তৎক্ষণাৎ পদত্যাগে বাধ্য করার মত ঘটনাও তাদেরকে ক্যারিয়ার সংকটে দাঁড় করিয়েছিল। এছাড়াও ভিসির সাবেক কর্মস্থল থেকে নিজের আস্থাভাজন লোকদের একের পর এক এনে চাকরি দেয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েন তারা। ফলে বাধ্য হয়েই চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান এসব শিক্ষক। 

জানা গেছে, প্রফেসর শওকত আলী খানের মত একই রকম আক্রোশের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ হাবিব। জানা গেছে, জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর ৬ মাসের মাথায় এই অধ্যাপক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে এই পদে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ভিসি লুৎফর রহমানের এক আত্মীয় এস এম আনিসুর রহমানকে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির ইইই, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং আইকিউএসিসহ বেশ কয়েকটি বিভাগ এবং প্রশাসনিক পদে উপাচার্য তার আস্থাভাজনদের নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা। 

চাকরি থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার এ তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক কর্মকর্তাও। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিদের সরিয়ে নিজের আস্থাভাজনদের নিয়ে আসতে এমনটি জড়ান ভিসি। ভিসির এমন অপকর্মের ভুক্তভোগী ছিলেন সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার মামুন মুকুল। ভিসির আক্রোশের শিকার হয়ে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় চাকরি ছাড়তে হয় তাকে। আচমকা চাকরি চলে যাওয়ায় এই ব্যক্তি বর্তমানে পারিবারিক খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। 

‘আমি সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে কাজ করতাম। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করান ভিসি। চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর গত এক বছর ধরে বেকার আছি। অসুস্থ মা এবং পরিবার নিয়ে একরকম অসহায় দিন পার করছি। এই বয়সে চাকরির জন্য ধারে ধারে ঘুরতে পারছি না। আমার সাথে যা হয়েছে এটা অন্যায়।’মামুন মুকুল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা হলে এই কর্মকর্তা বলেন, আমি সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে কাজ করতাম। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করান ভিসি। যাদের সঙ্গে কাজ করতাম তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমার রেপুটেশন সম্পর্কে জানা যাবে। কিন্তু কী কারণে আমাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করান ভিসি, সেটা বুঝতে পারিনি। এই ভিসির আগেও অন্য ভিসিদের সময়ে কাজ করেছি। কেউ কখনো ভুল ধরেনি। চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর গত এক বছরে থেকে বেকার আছি। অসুস্থ মা এবং পরিবার নিয়ে একরকম অসহায় দিন পার করছি। এই বয়সে চাকরির জন্য ধারে ধারে ঘুরতে পারছি না। আমার সাথে যা হয়েছে এটা অন্যায়। অন্য কারোর সাথে এমনটা না হোক সেটা কামনা করি। 

বিষয়গুলো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরাও। মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। এই ভিসি দায়িত্ব নেয়ার পর কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকরা অজানা কারণে চলে গেছেন। আমরাও শুনেছি তাদের জোর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের যথেষ্ট যোগ্য বলেই মনে হয়েছে। তাদের চলে যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।

তবে এসব অভিযোগের ভিসি ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, চাকরি ছাড়ার জন্য কাউকে বল প্রয়োগ করা হয়নি। কেউ যদি কোনো অভিযোগ করে থাকে, তাহলে এটা ভিত্তিহীন। তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নাই। আমি যা করেছি, ট্রাস্টিদের সাথে কথা বলেই করেছি। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়।

উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের একটা নির্দিষ্ট সার্ভিস রুল আছে। কেউ তাৎক্ষণিক চাকরি ছাড়তে চাইলে তাকে দুই মাসের বেতন দিয়ে যেতে হয়। আবার বিশ্ববিদ্যালয় কাউকে ছাঁটাই করতে চাইলে তাকে দুই মাসের বেতন দিয়ে বিদায় করতে হয়। যাদের বিষয়ে কথা হচ্ছে তারা সবাই এই নিয়মের মাধ্যমে গিয়েছেন। জোরপূর্বক চাকরি থেকে পদত্যাগের অভিযোগ তুললে ভিসি বলেন, তারা সবাই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এখন কোনো অভিযোগ তুললেও কেউ এটার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না।

অনীহা সিন্ডিকেট মিটিংয়ে
জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা, শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার্থীর ফি নির্ধারণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় সিন্ডিকেট সভায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৮ ধারায় এর গুরুত্বও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সিটি ইউনিভার্সিটিতে অন্তত দেড় বছর থেকে সিন্ডিকেট মিটিং হয় না। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু সমস্যা চলমান থাকায় কয়েক মাস থেকে সিন্ডিকেট মিটিং করা যায়নি। এখানে কোনো উদ্দেশ্য জড়িত নেই। শীঘ্রই সিন্ডিকেট মিটিং আয়োজন করা হবে।’

এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৩৬ এর ৬ ধারা অনুযায়ী কোন ভাইস-চ্যান্সেলর তার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অস্থায়ীভাবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলরের পদ শূন্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। আবার ছুটিতে থাকলে কিংবা দেশের বাইরে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে অধস্তন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার রীতি রয়েছে। কিন্তু সিটি ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ পর্যন্ত কখনো ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব পালন করেননি বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান। 

জানতে চাইলে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী শাহাদাৎ কবির ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘আমি কখনো ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পাইনি। কেন এমনটা হয়েছে, সেটার সম্পর্কে ভিসিই ভালো জানবেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বিশৃঙ্খলা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত। প্রশাসনিক বিষয়গুলো ভিসি পালন করেন। কাকে নেয়া হলো আর কাকে বাদ দেয়া হলো, এটার বিষয়ে উপাচার্য ভালো জানবেন।’ 

তবে এ নিয়মের কথা তুললে প্রতিবেদককে ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, আপনি ভুল বলছেন। আমি আচার্য কর্তৃক ফুলটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। কাউকে দায়িত্ব দেয়ার হলে আচার্য দেবেন। এ ধরনের কোনো নিয়ম নাই। 

সিটি ইউনিভার্সিটির প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হলে ২০১০ সালের আইন মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ভিসিরা যদি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে ইউজিসি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।


সর্বশেষ সংবাদ