০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১৪

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে পড়ার কারণ জানালেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, মানসিক ও প্রশাসনিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন জ্ঞান উৎপন্ন হচ্ছে না। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের সৈয়দ হাবিবুর রহমানের কয়েকটা কথা আমার আলোচনার জন্য উল্লেখ করাটা প্রয়োজন বলে মনে করছি আমি। বিশ্ববিদ্যালয়টা কি? কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পার্থক্যটা কি? এটাতো সত্যই কথা আমাদের কাছে বোধটুক আছে বলে আমার মনে হয় না। 

উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো সেই জায়গা, যেখানে নতুন জ্ঞান উৎপন্ন হয়। কলেজগুলো উৎপন্ন জ্ঞানকে প্রচার করে, শিক্ষা দেয়। এ একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। আর যখনই কোন জ্ঞানকে উৎপন্ন করতে হয় এর মানে হচ্ছে প্রচলিত জ্ঞান আছে তাকে আপনি প্রশ্নবিদ্ধ করবেন। যেটা প্রতিষ্ঠিত তাকে প্রশ্ন করেই নতুন কিছু আসে। সেজন্য যে এনভায়রনমেন্ট প্রয়োজন, একটা হচ্ছে প্রশাসনিক এনভায়রনমেন্ট আরেকটা হচ্ছে মানসিক এনভারমেন্ট সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা প্রয়োজন। আমরা সেটা প্রোভাইড করতে ব্যর্থ হচ্ছি বলেই আমাদের এখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন জ্ঞান উৎপন্ন করতে পারছে না। এজন্য বিভিন্ন ইন্ডিকেটর দেখি পিছিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নৈতিকতার প্রসঙ্গটা আমাদের স্কুল কার্যক্রমে, শিক্ষকদের আচরণে, ব্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন। শিশুদের পারস্পরিক ইন্টারেকশনের মাধ্যমে এটা ব্যাপ্ত হওয়া উচিত। এভাবেই শুধু প্র্যাকটিসের মাধ্যমে সে নৈতিকতাটাকে আয়ত্ত্ব করতে পারে বা অভ্যাসে পরিণত করতে পারে, যেটা ভবিষ্যৎ জীবনে তাকে চালিত করবে। শুধুমাত্র কতগুলো নৈতিক বাণী মুখস্থ করালে এটা বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত হবে-এসব আশা করতে পারি না। 

‘আমাদের শিক্ষায় নৈতিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ডাইমেনশন। এসব শিক্ষার একটি অংশ হওয়া দরকার। নৈতিকতার মানে-তার সঙ্গে যারা আছে তাদের প্রতি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ, পরিবেশের প্রতি মমত্ববোধ, দায়িত্ববোধ এসব  শিশু বয়সে আয়ত্ব করা প্রয়োজন। তাহলে আশা করতে পারি-ভবিষ্যতে শিশু এদিকে ধাবিত হবে।’