লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে মৃত্যু বেড়ে ২৪, বাতাসে বাড়ছে শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানল
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানল

লস অ্যাঞ্জেলসে ছয় দিন ধরে চলমান দাবানলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রচণ্ড শুষ্ক বাতাসের কারণে পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। দাবানলটি বর্তমানে ব্রিটেন উডস এবং সান ফার্নান্দো ভ্যালির দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'মৃতদের মধ্যে ১৬ জনকে ইটন ফায়ার জোন এবং আটজনকে প্যালিসেইডস এলাকায় পাওয়া গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় দমকল কর্মীদের পাশাপাশি আরও আটটি রাজ্য এবং কানাডা ও মেক্সিকো থেকে যোগ দেওয়া কর্মীরা সহযোগিতা করছেন।'

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, 'সবচেয়ে বড় দাবানলের শিকার হয়েছে পালিসেইডস, যেখানে প্রায় ২৩ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। অন্যদিকে ইটনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানলে প্রায় ১৪ হাজার একর এলাকা ভস্মীভূত হয়েছে।এছাড়া হার্স্ট-এ পুড়েছে ৭৯৯ একর।'

ক্যালিফোর্নিয়া ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, প্যালিসেইডস দাবানল মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে ৪০ হাজার একরের বেশি এলাকা এবং ১২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ও স্থাপনা ভস্মীভূত হয়েছে। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে চারটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে, যার মধ্যে এটন দাবানলও উল্লেখযোগ্য।

ক্যালিফোর্নিয়ার আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার (১২ জানুয়ারি)( থেকে শুরু হওয়া শুষ্ক বাতাস বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এতে পুরো লস এঞ্জেলসেই দাবানল ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

এ বিষয়ে পাসাডেনার দমকল বিভাগের প্রধান চাদ অগাস্টিন বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা আবারো সম্ভাব্য বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছি। কারণ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বাতাসের গতি সর্বোচ্চ হতে পারে। আমরা কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করলেও এর সমাপ্তির কাছেও আসতে পারিনি।'

লস এঞ্জেলস ফায়ার বিভাগের প্রধান ক্রিস্টিন ক্রাউলি ইভাকুয়েশন জোনগুলোর অধিবাসীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন যাতে করে কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলেই তারা সরে যেতে পারে। একই সাথে তাদের এমনভাবে অবস্থান করতে বলা হয়েছে যাতে করে কর্মীদের কাজে প্রতিবন্ধকতা না হয়।


সর্বশেষ সংবাদ