এনটিআরসিএ’র সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের
দাবি না মানলে আগামী ২২ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ১-১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন ‘এনটিআরসিএ’র নিবন্ধিত ১ম-১২তম নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদ’।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক জি এম ইয়াসিন ও আমির আহসাব।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিয়োগ দেওয়ার নামে আকাশচুম্বী দুর্নীতির এক বিরল প্রতিষ্ঠান আছে, যার নাম এনটিআরসিএ; যাকে আমরা অবিশ্বাসী, দুর্নীতিগ্রস্ত গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান নামে ডাকি। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, এ পর্যন্ত পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তিতে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার কোনো নিয়োগের সময় এনটিআরসিএ বৈধ সনদধারীদের কাছে তার স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত করতে পারেনি। বরং বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, দীপু মনি ও মহিবুল হাসান নওফেলের যোগসাজশে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল।
এনটিআরসিএতে হওয়া বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুলের কথা উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা বঞ্চিত নিবন্ধন সনদধারীদের নিয়োগের অধিকার ফিরে পেতে চাই।
এ লক্ষ্যে আমরা বলতে চাই, সব দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এবং অনৈতিকভাবে যেসব বৈষম্য সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে সব বৈষম্য দূর করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং প্রথম থেকে ১২তম বৈধ নিবন্ধন সনদধারীদের অবিলম্বে নিয়োগের সুনিশ্চিত ঘোষণা দিতে হবে। আর এক মুহূর্তও বিলম্ব নয়, এখনই নিয়োগের সুনিশ্চিত ঘোষণা করতে হবে।
এ সময় আরো বলা হয়, এনটিআরসিএ নিয়োগের সুনিশ্চিত ঘোষণা না করা পর্যন্ত বোরাক টাওয়ারের সামনে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে আমাদের আইনগত অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।