সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ঢামেকের ডিন অফিস ঘেরাওয়ের ঘোষণা

ডিন অফিস
ডিন অফিস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজগুলোর ২০১৮-১৯ সেশনের এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ফাইনাল ইয়ারের সাপ্লিমেন্টারি (পরিপূরক) পরীক্ষা আয়োজনে চিকিৎসা অনুষদের টালবাহানার প্রতিবাদে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ডিন অফিস (নিউক্লিয়ার মেডিসিন ভবন) ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল রবিবার (২ মার্চ) সকাল ৯টায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে আজ শনিবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীবৃন্দদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, মেডিকেলের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য গত কয়েকদিন ধরে প্রশাসনের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনায় ছিল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৭০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ডিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের যৌক্তিক দাবি তার সামনে তুলে ধরেন। 

‘‘আলোচনার ভিত্তিতে তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে, আগামী ১৩ মার্চ থেকে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসও লিখিত অনুমোদন দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা এবং অনলাইন ফরম উন্মুক্ত করা হয়।’’

শিক্ষার্থীরা বিবৃতিতে আরও বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আমরা দেখতে পাই, ডিন তার নিজের দেওয়া কথা ভঙ্গ করেছেন। তিনি পরীক্ষার ফরম ও বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দেন এবং পরিপূরক পরীক্ষার রুটিনও বাতিল করেন। এই সিদ্ধান্তে আমরা আবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং আমাদের ন্যায্য দাবি জানিয়ে পরিস্থিতির ওপর আরও আলোচনার দাবি জানাই। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় অ্যাকাডেমিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং অনলাইন ফরম উন্মুক্ত করা হয়। 

শিক্ষার্থীরা বিবৃতিতে বলেন, আমরা অনেকেই ফরম পূরণ করে ফেলি। বিশেষ করে, যারা বিদেশে পড়াশোনা করছিলেন এবং তাদের ক্লাস শেষ হওয়ার পর দেশে ফিরে গিয়েছিলেন, তারা পরীক্ষার নোটিশ পেয়ে দ্রুত প্লেনের টিকেট কেটে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। কিন্তু সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিন বিকেলে ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফরম আবার সরিয়ে ফেলা হয়। ডিনের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রেসিডেন্ট পরীক্ষা নিতে নিষেধ করেছেন।

তারা বলেন, আমাদের সাথে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে যাতে আমাদের জন্য কোনো সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হয়। আমাদেরকে জুনিয়রদের সঙ্গে নিয়মিত প্রফেশনাল (পেশাগত) পরীক্ষায় বসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এর মাধ্যমে আমাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি সেশনের শিক্ষার্থীদের বছরে দুটি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকার কথা— একটি মে মাসে এবং অপরটি নভেম্বর মাসে। কিন্তু আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত একটি পরীক্ষার স্লট এখন ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ