১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:০৩

কুয়েটের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা

কুয়েট প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা

উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে দেন। ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।  

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকেই কুয়েট উপাচার্য অবরুদ্ধ রয়েছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় বুধবার নির্ধারিত ৯৮তম সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১১টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে অবরুদ্ধ থাকায় ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় বুধবার কোনো ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, অনেককে আবাসিক হল ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।  

এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানান। বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। দাবি মানা না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।  

এদিন কুয়েটে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি ধাওয়া বিকেল পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। গুরুতর আহত ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।