পবিপ্রবি
‘কর্মকর্তারা ফাইল আটকালে ডিগ্রি নেয়া কষ্ট হবে শিক্ষার্থীদের’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪০ PM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৭ AM

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াজকুরুনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘কর্মকর্তারা যদি শিক্ষার্থীদের ফাইল না ছাড়ে তবে তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য হবে, যদি এভাবে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে আন্দোলন করে তবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় এক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতির দাবিতে চারদিন ধরে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর বিপরীতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত কর্মকর্তার পক্ষে অফিসার্স এসোসিয়েশনের আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক।
শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়াকে মুরগী চুরির সাথে তুলনা করে মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, ‘মুরগী চুরির মত ঘটনায় শিক্ষকদের এভাবে বিচার দাবি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তদন্তে অভিযুক্ত কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন তার বিচার করবে। তবে যদি অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয় আমরাও কর্মসূচি হাতে নিতে জানি।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না শ্রমিক কারখানা’—জিজ্ঞাসা পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির
এ সময় অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘অভিযুক্ত কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যে ব্যবস্থা নেবে তা মেনে নেওয়া হবে, তবে কিছু হলেই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে রাখে, এতে দাপ্তরিক কাজে বিঘ্নতায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।’
এদিকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেলকে চাকরিচ্যুতির দাবিতে চতুর্থদিনের মতো চলা শিক্ষক সমিতির আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেল স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সেইসঙ্গে বন্ধ থাকবে সকল ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম।
শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন করে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবারও রাসেলের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন করতে দেখা যায় তাদের।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেলের বিরুদ্ধে সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তারপরই রাসেলের চাকুরিচ্যুতের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে আন্দোলন করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।