শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া, উৎসব-চিকিৎসা ভাতা কত টাকা বাড়ছে?

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা- এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াতে পারবো।’

সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা কত টাকা বাড়ছে সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিক্ষা প্রশাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি পূরণ নাও হতে পারে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, ‘রাতারাতি উৎসব ভাতা শতভাগ করা সম্ভব হবে না। প্রাথমিকভাবে কিছুটা বাড়ানো হবে। এর পর ধাপে ধাপে তা শতভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া বাড়ি ভাড়া এক হাজার টাকার মতো বাড়ানো হতে পারে। চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বিষয়গুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক আলোচনার মধ্যে রয়েছে।’

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন নিয়ে যা জানালেন মাউশি ডিজি

শিক্ষকদের উৎসব ভাতা শতভাগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান এ বিষয়ে এখনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষকরা বর্তমানে মূল বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। এছাড়া বাড়ির ভাড়ার জন্য এক হাজার এবং চিকিৎসা ভাতার জন্য ৫০০ টাকা করে পান। বর্তমান বাজারে যা খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে উৎসব ভাতা শতভাগ করার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।

শতভাগ উৎসব ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন শিক্ষক নেতারা। অবশেষে ঈদুল আজহা থেকে উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘কয়েকমাস আগেই আমি সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলাম, সাধ্যমত এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটে যতটুকু অর্থ সংকুলান করা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা যতদূর পারি চেষ্টা করব দাবিগুলো মেটাতে।’

বিদায়ী উপদেষ্টা বলেন, ‘কিন্তু, ১৫/২০ বছরের বঞ্চনা ১/২ বছরের বাজেট দিয়ে তো মেটানো যায় না। এটা বোঝানো খুব কঠিন। আজকেই বেসরকারি বেতন সরকারি বেতনের সমান করে দিতে হবে- এটা ন্যায্য দাবি বুঝলাম, কিন্তু এক বছরের বাজেট দিয়ে কীভাবে ১৫ বছরের বৈষম্য ঠিক করা যায়? কিন্তু শুরুটা করা দরকার। সেই শুরুটা আমরা করে দিয়ে যাচ্ছি।’


সর্বশেষ সংবাদ