১৯ মার্চ ২০২৫, ১৯:০৯

ইএফটি জটিলতা: একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিল ইএমআইএস সেল

মাউশি লোগো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে। তথ্যগত ভুল থাকলেও সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে ইএফটির মাধ্যমে বেতন দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য সংশোধন না করলে বেতন-ভাতা বন্ধ করার কথা জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল।

ইএমআইএস সেল জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ভ্যালিড এবং ব্যাংক হিসাব সঠিক এবং সচল আছে তাদের ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস ঈদের আগেই দেয়া হবে।

তারা বলছেন, ‘তথ্য প্রদানকালে যারা এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব নম্বর ভুল দিয়েছিলেন তাদের তথ্য এডিট করে পুনরায় দিতে বলা হয়েছে এবং প্রায় সকলেই দিয়েছেন। পুনরায় প্রাপ্ত তথ্য এবং জানুয়ারি মাসে নতুন এমপিওভুক্ত জনবলের তথ্য আইবাস-এ যাচাই এর জন্য প্রেরণের কাজ চলছে। যাচায়ান্তে সঠিক প্রমাণিত হলে ঈদের আগেই তাদের বেতন প্রদানের চেষ্টা করা হবে।’

প্রথম বারে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইকালে অনেক শিক্ষকের ব্যাংক হিসাব Inactive বলেছিলো ব্যাংক থেকে।  তাদের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অনেকেই ব্যাংক হিসাব সচল করেছেন। তাদের তথ্যও ব্যাংক থেকে পুনরায় সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাদের ব্যাংক হিসাব সচল প্রমাণিত হবে তাদের বেতনও ঈদের আগেই দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সাধারণত ব্যাংক লোন থাকলে বা ব্যাংকে টাকা কম থাকলে হিসাব Inactive বা ফ্রিজ থাকে। এছাড়াও সোনালী এবং অগ্রণী ব্যাংক কিছু তথ্য ভুল দিয়েছিলো। তাদের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। যাদের NID যাচাইয়ের সময় Invalid প্রমাণিত হয়েছিলো তাদেরও বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি।’

ইএমআইএস সেল জানিয়েছে, ‘নভেম্বর ২০২৪ মাসের এমপিও অনুসারে যাদের এমপিওশীটে নাম, জন্ম তারিখ,  পদবি বা বিষয় ভুল আছে তারা অনলাইনে আবেদন করে সংশোধন করে নিবেন। NID তে বা ব্যাংকের তথ্যে ভুল থাকলে নির্বাচন কমিশন অফিস বা ব্যাংক থেকে তথ্য সংশোধন করতে হবে। ডট, স্পেস বা হাইফেল এর মতো ভুল অনলাইনে সংশোধনের প্রয়োজন নেই।

এমপিওশিট,  NID, ব্যাংকের তথ্য এবং সনদ সব জায়গায় তথ্য এক এবং অভিন্ন হতে হবে। বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত এবং কর্মরত সকল শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদান স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লট চলমান থাকবে।’