ইএফটিতে বেতন: তথ্য সংশোধনের শেষ সময় জানাল মাউশি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৬ PM , আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ AM

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা দিয়েছে সরকার। বেতন পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ১ লাখ ৮৯ হাজার প্রার্থীর তথ্যে কোনো ভুল পাওয়া যায় নি। তবে অবশিষ্ট প্রায় দুই লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য সংশোধন করতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য সংশোধন না হলে তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, নামের বানান, জন্ম তারিখ—এ দুটি বিষয় সংশোধনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এর বাইরে মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা এমপিও সিস্টেমে থাকা তথ্য একই থাকতে হবে। এছাড়া ডট, কমা, হাইফেনের বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। এগুলো সংশোধনের জন্য এক মাসের মতো সময় দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে মাউশির উপ-পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোঃ শাহজাহান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ইএফটিতে বেতন পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের তথ্যগত ভুল রয়েছে, তাদের আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমার মধ্যে তথ্য সংশোধন করতে হবে। তথ্য সংশোধন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। যতদিন তারা তথ্য সংশোধন করবেন না, ততদিন বেতন বন্ধ থাকবে।’
তথ্য সংশোধনের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ড্যাশবোর্ড উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে জবাবে মাউশির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমার জানা মতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ড্যাশবোর্ডে এক্সেস দেওয়ার কথা। বিষয়টি আমাদের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বা ইএমআইএস সেল দেখছে। বিষয়টি সম্পর্কে তারাই ভালো বলতে পারবে। ৬ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য সংশোধন করতে হবে।’
এদিকে চলতি সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন হবে বলে জানিয়েছেন মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। আমাদের বাজেটের কোনো ঘাটতি নেই। তবে টেকনিক্যাল কিছু কারণে জানুয়ারি মাসের বেতন ছাড় করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলণ করতে পারবেন।’
মাউশি ডিজি আরও জানান, ‘বেতন না হওয়ায় শিক্ষকরা কষ্টে আছেন। তবে ভালো কিছু পেতে হলে কষ্ট স্বীকার করতে হবে। এই অসুবিধা সাময়িক। এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে শিক্ষকরা মাসের শুরুতেই বেতন পাবেন। আশা করছি চলতি সপ্তাহেই শিক্ষক-কর্মচারীরা জানুয়ারি মাসের বেতন পাবেন।’
জানা গেছে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দিতে এজি অফিসে তথ্য পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার অথবা আগামী বৃহস্পতিবার শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন যাবে। এরপর তারা জানুয়ারি মাসের বেতন তুলতে পারবেন।
এ বিষয়ে মাউশির সাধারণ প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক মোঃ শাহজাহান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন ছাড়ের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার বেতন সংক্রান্ত তথ্য এজি অফিসে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মচারীরা জানুয়ারি মাসের বেতন পাবেন।’