বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়ে যা জানালেন মাউশির ডিজি
‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। আমাদের বাজেটের কোনো ঘাটতি নেই। তবে টেকনিক্যাল কিছু কারণে জানুয়ারি মাসের বেতন ছাড় করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলণ করতে পারবেন।’
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
মাউশি ডিজি জানান, ‘বেতন না হওয়ায় শিক্ষকরা কষ্টে আছেন। তবে ভালো কিছু পেতে হলে কষ্ট স্বীকার করতে হবে। এই অসুবিধা সাময়িক। এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে শিক্ষকরা মাসের শুরুতেই বেতন পাবেন। আশা করছি চলতি সপ্তাহেই শিক্ষক-কর্মচারীরা জানুয়ারি মাসের বেতন পাবেন।’
জানা গেছে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দিতে এজি অফিসে তথ্য পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার অথবা আগামী বৃহস্পতিবার শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন যাবে। এরপর তারা জানুয়ারি মাসের বেতন তুলতে পারবেন।
এ বিষয়ে মাউশির সাধারণ প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক মোঃ শাহজাহান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন ছাড়ের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার বেতন সংক্রান্ত তথ্য এজি অফিসে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মচারীরা জানুয়ারি মাসের বেতন পাবেন।’
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। তবে তারা এখনো জানুয়ারি মাসের বেতন পান নি।