২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৭

প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ বছর পর যে শাস্তি পেল প্রেমিক

মারুফ হাসান বাঁধন

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে প্রেমিকা আসমা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন প্রেমিক মারুফ হাসান বাঁধন। প্রায় ৬ বছর আগের এ ঘটনায় প্রেমিক বাঁধনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। 

এর আগে, কারাগারে আটক থাকা আসামি বাঁধনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। ১টা ৫ মিনিটে রায় পড়া শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়া তার মৃত্যুদণ্ড দেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাঁধনের সঙ্গে ভুক্তভোগী আসমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট তারা পঞ্চগড় থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তারা কোনো আবাসিক হোটেল না পেয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে বলাকা ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগিতে তাকে নিয়ে যান বাঁধন। সেখানে আসমাকে ধর্ষণ করেন তিনি। তবে আসমা চিৎকার করলে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে বাঁধন। এরপর বাঁধন ফের পঞ্চগড়ে ফিরে যান।

১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেনের বগি বুঝে নিতে গিয়ে লাশ দেখতে পায় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। পরে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে জন্ম সনদ দেখে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচা রাজু আহমেদ বাদী ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি বাঁধনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।