০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:১৩

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল

বিক্ষোভ মিছিল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবী পরিবার’। আজ রোববার (৬ এপ্রিল) যোহরের নামাজের পর শহরের জহিরিয়া মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চায়’ ‘জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই’, ‘এ জিহাদে জিতবে কারা বিশ্বনবীর সৈনিকেরা’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশনসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ব বিবেক আজ নিশ্চুপ। কোথায় মানবাধিকার? আমাদের শক্তি সঞ্চয় করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সমস্ত মুসলমান ভাই ভাই ও একটি দেহের মতো। দেহের একটি অঙ্গ যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে শারীরিক ক্রিয়া যেমন ব্যাহত হয়, ঠিক তেমনি একজন মুসলিম ভালো না থাকলে অন্যরাও ভালো থাকতে পারে না। মুসলিম হিসেবে আমাদের লজ্জা অনুভব হয় যে, আমরা এখনও এই অসহ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে পারছি না। আমরা ভুলে যেতে বসেছি মুসলমানদের পুরনো ঐতিহ্য।

ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের প্রতিনিধি ওসমান গনি রাসেল বলেন, আজ ফিলিস্তিনের মাটিতে যে নির্মম গণহত্যা চলছে, তা কেবল ফিলিস্তিনিদের উপর আঘাত নয়, বরং এটি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উপর একটি চরম অবমাননা। শিশু, নারী, নিরীহ মানুষদের রক্তে আজ রঞ্জিত গাজা। অথচ বিশ্ব বিবেক চুপ করে আছে। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা সবাই আজ নিশ্চুপ। 

ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের আরেক প্রতিনিধি নুর নবী হাসান বলেন, জাতিসংঘ আজ নির্বিকার। তারা মুখে শান্তির কথা বললেও কাজে নিষ্ক্রিয়। আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। একটি রাষ্ট্রও দৃশ্যমান ভূমিকা নিচ্ছে না। এই নীরবতা একধরনের অপরাধ। আজ যদি আমরা চুপ থাকি, তবে কাল ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আমরা বিশ্বাস করি, যদি মুসলিমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে ওই জালিম শত্রুরা পালানোরও জায়গা পাবে না।