২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৫১

মেডিকেল ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ ৪৯ শিক্ষার্থী প্রমাণ দেখাতে আসেননি

ভর্তি পরীক্ষার্থী

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় প্রমাণ দেখাতে আসেননি ৪৯ জন ভর্তিচ্ছু।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার (বীরাঙ্গনা) সন্তান কোটায় আবেদনকারীদের প্রমাণসহ উপস্থিত হতে বলা হয়। ৪৯ জন এতে উপস্থিত হননি। এদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তারা কোটার দাবিদার নন বলে গণ্য হবেন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই না জেনে আবেদন করেছেন। ফলে অনেকেই বাদ পড়বেন। তবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তান রয়েছে। তারা সরকারি মেডিকেল ভর্তির সুযোগ পাবেন।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চান্সপ্রাপ্তদের সবাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে কিছু প্রার্থী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে বিষয়গুলো আরেকটু যাচাই করা দরকার। যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ হলে আগামী রোববার অথবা সোমবার প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্টদের কাছে জমা দেওয়া হবে। এরপর তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন রয়েছে ২৬৯টি। এর মধ্যে ১৯৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন। যাদের অধিকাংশেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪০-৪৬। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও মাহিন সরকার। ক্ষোভ জানাতে থাকেন শিক্ষার্থীরাও। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিতদের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সারাদেশে একযোগে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার ২৬১ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ২২ হাজার ১৫৯ জন যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। উত্তীর্ণ মেয়ে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।