রংপুরের এক কলেজ থেকে ৭৯ শিক্ষার্থীর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ PM , আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ AM

রংপুর সরকারি কলেজের ৭৯ উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থী এ বছর সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের ইতিহাসে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে মনে করছেন কলেজটির শিক্ষকরা।
গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে প্রকাশিত এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলে জানা গেছে, কলেজটি থেকে ৬৯ শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামিমা আখতার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৭৯ জনের মেডিকেলে সুযোগ পাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছি। তবে আশা করছি, এই সংখ্যা আরও বাড়বে। গত বছর একই কলেজ থেকে ৬৩ জন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
কলেজের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ১ হাজার ২৬৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে পাসের হার ৯৮ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে ছিলেন প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থী। এ সাফল্যের পেছনে শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম, শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং অভিভাবকদের সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তারা।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রংপুর সরকারি কলেজ বাংলাদেশের রংপুর শহরের একটি স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি শহরের কেন্দ্রস্থল রাধাবল্লভ এলাকায় অবস্থিত এবং ১৯৬৩ সালের ২৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়া, স্নাতক (পাস) কোর্স, ১৪টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ৭টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, এইচএসসি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যন্ত এখানে মোট ১১ হাজার ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
কলেজটি থেকে এ বছর এমবিবিএস ভর্তিতে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো— চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দুইজন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে একজন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে দুইজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১১ জন, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ৫ জন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ৩ জন, জামালপুর মেডিকেল কলেজে একজন, যশোর মেডিকেল কলেজে একজন, খুলনা মেডিকেল কলেজে ৩ জন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে একজন, এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজে একজন, মাগুরা মেডিকেল কলেজে একজন, মুগদা মেডিকেল কলেজ, মুগদায় তিনজন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ৩ জন, নীলফামারী মেডিকেল কলেজে একজন, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে একজন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে তিনজন, রংপুর মেডিকেল কলেজে ১০ জন, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ একজন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ৫ জন, শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজে ৩ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ৫ জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৩ জন, সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে একজন, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে তিনজন।
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছে— সামসুন নাহার গনি, জিয়া হোসেন, শাহরিয়ার আহমেদ, তৌফিকুর রহমান, রানা ইসলাম বুলেট, মোঃ বায়জিদ বোস্তাম, মোঃ উজায়ের রাজিন, তানজিলা হক বিথী, হাসনাত শাফি রিয়াদ, মুশফিকুর রহমান মুহিব, এইচএম হাসনাইন, রিয়ন, মোঃ জনি, তৌফিকুর রহমান তারাঙ্গো, মোস্তাফিজুর ইসলাম সাফি, ইসরাত আলম এশা, মোঃ ফাহিম রহমান, চিম্ময় রায় পৃথম, মুতাহার আলম আরশি, আল ইমান রাফি, মোঃ এম এমান রাফি, সাবিনা ইয়াসমিন, নাদিয়া আক্তার লিমা, মোঃ আবু সায়েম মোক্তাদির, নওশিন নাওয়াল তোশিতা, মোস্ট শেনেয়া তাসনিম বোরিমা, ইসরাত হাসান জামে।
আরও রয়েছেন, ওয়েশা আক্তার সাগরিকা, প্রোজেনিত কুমার বর্মন, মিস. মরিয়ম বিবি, আনাস আল মাহিন, মরিয়ম আক্তার শিলা, নুরাদ হোসেন, অর্পিতা হক, আরিফ মাহমুদ, উম্মে হানি হাফসা মিম, আফিয়া ইনাত, মোঃ রাফসান ইসলাম অর্ক, আরাফাত আলী আদম, পবিত্র রায়, মোঃ সাগর মিয়া, সামিরা তাসনিমআনাস আল মাহিন, মরিয়ম আক্তার শিলা, মিসেস ইসরাত জাহান ইথিলা, রাফুল হাবিব রিয়াদ, মো. সাদিকুল ইসলাম ওমরান, সম্পাতি রানী রায়, মোসা. সুমাইয়া খাতুন, ওয়াশিমা জারিন, মো. শাহ নওয়াজ পারভেজ সুমন।
আরও পড়ুন: এক কলেজ থেকেই মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন ১৫ শিক্ষার্থী
এছাড়াও নুরাদ হোসেন, আল ইমরান সোনেট, আমিনা বেগম, আতিকা তাসনিয়া, অর্পিতা হক, মো. আরিফুল ইসলাম সাঈদ মাইনুর রেজা চৌধুরী, শামীমা আলম, মো. আরিফ মাহমুদ, নূর ই জান্নাত, ইসরাত জাহান বর্ষা, মিসেস. সুমাইয়া আক্তার, নূর-ই-জান্নাত, মো. তানভীর আনজুম, অরুনিমা মিত্র অথৈ, মিসেস. সিমোনা আক্তার, সাদিয়া আফরোজ, আব কুদ্দুস, জাহিন সুলতানা দিনা, মো. সাদমান আলাভি সাকিব, আফরিদা ইফনাত অহনা, উম্মে হানি হাফসা মিম, মো. সাদ আবদুল্লাহ, মোস্ট. ফাহমিদা ইসলাম, আফিয়া ইফনাত, মো. সিহাব জাম, মো. রাফসান ইসলাম অর্ক, মো. শাহরিয়ার আলম ফাহিম মিসেস. আনিকা শর্মিলা মারমো, আরাফাত আলী আদম, পবিত্র রায়, মো. সাগর মিয়া, সামিরা তাসনিম।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামিমা আখতার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কলেজের ছায়া ঘেরা শীতল পরিবেশ, শিক্ষকদের সুশৃঙ্খল পাঠদান এবং কঠোর তদারকির ফলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করছি।
কলেজ কর্তৃপক্ষ আশাবাদী যে ভবিষ্যতে আরও বেশি শিক্ষার্থী দেশের স্বনামধন্য মেডিকেল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাবে এবং রংপুর সরকারি কলেজের সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে।