মেডিকেলে এক কলেজ থেকে সারা দেশে চতুর্থ ও ২৮ জনের চান্স
দিনাজপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বরাবরের মতো এ বছরও মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় বিশেষ চমক দেখালেন। প্রতিষ্ঠানটি থেকে জাতীয় মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থান অর্জন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে আবুল ফাইয়াজ। এখন পর্যন্ত ২৮ জনের চান্স পাওয়ার তথ্য পেয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২০২২-২০২৩ বর্ষে কলেজটির ৫৪ জন শিক্ষার্থী, ২০২৩-২০২৪ বর্ষে ৭৩ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে চান্সপ্রাপ্তরা হলেন ১. আবুল ফাইয়াজ (ঢাকা মেডিকেল কলেজ), ২. মারিয়া আবেদিন, ৩. ফারিয়া নুসরাত রিচমি, ৪, সাদিয়া মুনতাহা তাসিন, ৫. রাহুল রায়, ৬. আলভি হুদা, ৭. আব্দুল্লাহ আল-আহাদ, ৮. আল-মুস্তাহিদ অসিম, ৯. সাদিয়া আফরিন, ১০. সুপ্ত বসাক, ১১. জহিরা জান্নাত নাজনিন, ১২. ফাতেমাতুজ জোহরা মিতু, ১৩. মারিয়া তাবাসসুম, ১৪. তিশা নিগার, ১৫. সানজিদা ইসলাম সাথী, ১৬. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ১৭. সুরাইয়া আক্তার, ১৮. মামুন ইসলাম, ১৯. কানিজ ইরিন জামান, ২০. আনিকা জিন্নাত, ২১. নওরিন আক্তার কলি, ২২. সাদিয়া মুসতারি বৃষ্টি, ২৩. সামিয়া আক্তার বাবলী, ২৪. ফেরদৌস রাফি, ২৫. মুন, ২৬. কাবরিনা তাবাসসুম, ২৭. সামিয়া রহমান রিদি ও ২৮. ফাইজ ফয়সাল।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনের ‘পরিবেশ পরিষদ’ গঠন
দিনাজপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল মোমেন ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিবছর বুয়েট, মেডিকেল ও দেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরবঙ্গের সুনামধন্য দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী চান্স পেয়ে থাকে। এবারে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন চান্স পেয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। আমাদের তথ্যপ্রাপ্তিতে একটু ঘাটতি আছে। তবে প্রতি বছর ৫০+ থাকে। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না বলে আশা রাখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কলেজ থেকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল ৫৪ জন, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল ৭৩ জন। এর পূর্বে বুয়েটে প্রথম স্থানসহ ৩২ জন চান্স পেয়েছিল।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসের সড়ক সংস্কারের দাবিতে উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি
দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম আল আব্দুল্লাহ্, উচ্চ মাধ্যমিক শাখার তত্ত্বাবধায়ক শেখ মো. মাহাতাবুল হক এবং সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এখন দিনাজপুর সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি আমরা। যাতে এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে অতীতের মতো দেশের সেরা মেধাবীরা শিক্ষাজীবন শেষ করে বুয়েট, মেডিকেল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় এবং দেশ সেবায় নিজেকে নিয়জিত করতে পারে।’